বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাজীগঞ্জে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল মাঠ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি পুরো বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিশ্বরোড মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা, পৌরসভা, এবং বিভিন্ন কলেজ-মাদ্রাসা শাখার নেতা-কর্মীরা। সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন, এবং বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড।
অনুষ্ঠানে একাধিক নেতা-কর্মীর হাতে দেখা যায় ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাকার্ড। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: “বৈষম্য শেষ হয়নি, হাত বদল হয়েছে শুধু। “অস্বীকারের কারণে ৭১-এর চেতনা আজ মৃত।“২৪! ওয়াসিমদের অস্বীকার করে তুমি কতদিন বাঁচবে?”“প্রিয় বিপ্লব! শতাধিক শহীদকে অস্বীকার করে তুমি কি বেঁচে থাকতে পারবে?”
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রদল নেতারা বলেন, “৫ আগস্ট স্বৈরশাসনের পতনের পর বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয়তাবাদী দলের অবদানকে অস্বীকার করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এ প্রবণতার প্রতিবাদ জানাতেই এমন প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।”
শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে কিছু ব্যক্তি বৈষম্য সৃষ্টি করে দেশকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টা দেশের ঐক্য বিনষ্ট করবে এবং এর ফায়দা লুটবে স্বৈরশাসনের দোসররা। আমরা এ ধরনের বিভাজনের রাজনীতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।”
বক্তারা আরও বলেন, “তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সাম্য, শান্তি, এবং ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। একে অপরের অবদান স্বীকার করে ঐক্যের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”
বক্তারা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, “এসব হঠকারী কাজ থেকে সরে এসে সবাই ঐক্যের পথে এগিয়ে আসুন। বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রেখে একটি সাম্যবাদের বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করুন।”
ছাত্রদলের এই বর্ণাঢ্য আয়োজন এবং প্রতিবাদী বার্তা উপস্থিত সবার মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।