নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক আমলা কাজী হাবিবুল আউয়াল, সিইসির দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সবশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কর্মজীবন শুরু করেন জেলা মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করেন।
তার নাম প্রস্তাব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
একজন দক্ষ, মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত বিচার বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুল আউয়াল আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে সুপারনিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। সেখান থেকে তাকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্মসচিব এবং পরে প্রতিরক্ষাসচিব হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ জুন তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে সেই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।
হাবিবুল আউয়ালের পৈত্রিক ভিটা চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দীপে হলেও তার পিতার চাকরি সূত্রে তার জন্ম কুমিল্লায়। হাবিবুল আউয়ালের পিতা কাজী আবদুল আউয়াল কারা বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বাদী ছিলেন তৎকালীন কারা উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) আবদুল আউয়াল।হাবিবুল আউয়াল ১৯৭২ সালে খুলনার সেন্ট জোসেফ’স হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি।