মনিরুল ইসলাম মনির মতলব উত্তর উপজেলার সাহাবাজকান্দি গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি পরিবারকে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই পরিবারটি। ২৪ মার্চ সোমবার সকালে সাহাবাজকান্দি গ্রামের মিয়াজি বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ শামীম মিয়াজী।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ থেকে ২৫ বছর পূর্বে, গরিব হিসেবে আমি সালেহা বেগম (৭০ বছর বয়সী) নামের এই মহিলাকে আশ্রয় ও থাকার জন্য একটি ঘর প্রদান করেছিলাম। এরপর, তার সন্তানদের কাছ থেকে সাফকবলা করে বাড়ি ক্রয় করেছিলাম, কিন্তু তারা আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়। দরিদ্র হিসেবে আশ্রয় প্রদানের পর যখন আমার জায়গার প্রয়োজন হয়ে তাদেরকে চলে যেতে বললাম, তখন থেকেই তারা আমাদের উপর বিভিন্ন অত্যাচার চালায়-গাছ কেটে ফেলা, ঝগড়া-যাটি করা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা। ফলে, তাদের বিরুদ্ধে আমি সাত (৭) ধারা মামলা দায়ের করি।
এরপর, তাদের বাড়ির কিছু অসাধু ব্যক্তির (যেমন, ইয়াসিন আরাফাত, মহসিন মিয়াজী, শাহ আলম মিয়াজী এবং খসরু সরকারের সহযোগিতায়) দ্বারা আমার নামে (শামিম মিয়াজী) এবং আমার মায়ের নামে (হাজেরা বেগম) মিথ্যা হত্যা মামলার দায়ের করা হয়। মামলায় আমার মাকে প্রমাণহীনভাবে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ঐ রাতেই আমার বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনায় আমি গভীর কষ্ট ভোগ করি।
আমি এলাকার বাসিন্দা ও প্রশাসনের কাছে সুবিচারের আবেদন জানাচ্ছি। আমার জায়গা থেকে এই বৃদ্ধ মহিলাকে চলে যেতে হবে, কারণ আমি “খাল কেটে কুমির এনেছি” উদাহরণস্বরূপ, সিলেটের কানাইগাটে মুনতাহা নামে এক শিশুকে প্রান দিতে হয়েছে। এদের মতো গরীব বিখারিদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে এখন আমরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, এবং এই বিখারিরা (ছালেয়া বেগম গং) আমাদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করছে। এমন অবস্থায়, আমি আমার পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসতেও ভয় পাই। আমি এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই এবং আমার জায়গা বুঝে পেতে চাই।
এদিকে ভিক্ষুক বৃদ্ধা সালেহা বেগমের বাড়ির লোকজন জানান, আমরা ছোট বেলা থেকেই দেখছি সালেহা বেগম তার এই জায়গায় বসবাস করেন আসছেন। এবং তিনি যে আগুনের বিষয় কথা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের ঘরে তারা নিজেরাই আগুন দিয়েছে, আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য।