সংসার জীবনে তিন সন্তান জনক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী। পেশাদার ড্রাইভার হিসাবে দায়িত্বশীল ভূমিকায় স্ত্রী সন্তানদের ভরনপোষণ সব কিছুই ছিল তার ঠিকঠাক। নড়িয়া চাঁদপুরের মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে হিসাবে মোটামুটি সুনাম ছিল গৌরবময়। পাশ্ববর্তী শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রয়ী আফজাল বাড়ীর আবুল বাশারের মেয়ে বিউটি বেগমের সাথে পার করেছেন প্রায় বিশ বছর। বর্তমানে স্ত্রী হিসাবে মর্যাদা দিয়ে যেন ভুল করেছেন বলে দাবি করেন অভিমানী আলমগীর হোসেন।
তিনি অভিমানের সুরে অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় ছেলে হৃদয়কে গত ৯ মাস পূর্বে আমার স্ত্রী বিউটি বেগম, বায়রা ভাই পিপলকারা গ্রামের ইতালিয়ান প্রবাসী শাহিন মিয়ার যোগসাজশে জোরপূর্বক বিবাহ করায়। আমি বাবা হিসাবে জীবিত এবং দেশে থাকা স্বত্বেও তারা আমাকে না জানিয়ে আমার নাবালক ছেলেকে ভুলিয়ে বালিয়ে জোরপূর্বক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করায়। সেই থেকে রাগে, ক্ষোভে, অভিমানে গত প্রায় ৯ মাস ধরে এলাকা থেকে, সমাজ থেকে, বাড়ী থেকে লজ্জা, ঘৃণা পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এসময় তিনি আবারো বলেন, আমি সন্তানের পিতা হিসাবে আক্ষেপ আমাকে না জানিয়ে তারা জোরপূর্বক প্রতারনা চলে বিয়ে করিয়ে আমার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। সেই দুঃখে আমি দাম না পেয়ে নিজে সন্নাসীর মত জীবন যাপন করে আসছি।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আলীগঞ্জ স্বপন মজুমদারের বালু মহালের পাশে যাযাবর জীবন যাপন করে আসছে আলমগীর হোসেন। গোসল নদীতে, খাবার হোটেলে আর ঘুমসহ বাকী কার্যক্রম এখানেই অভিমান করে সময় কাটি আসছেন তিনি। আর মাত্র ২ দিন পর ইদুল ফিতর অথচ এখন পর্যন্ত পরিবারের কোন লোকজন অভিমান ভাঙ্গাতে আসেনি।
আলীগঞ্জ বালুর ঘাট এলাকায় কর্মরত জহির মিয়া বলেন, তিনি গত প্রায় এক বছর ধরে খাতা বালিশ নিয়ে এখানেই যাযাবর জীবন যাপন করে আসছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে নেই কোন খোঁজ। সামনে ঈদ অথচ পরিবারের উপযুক্ত সন্তানরাও যেন তার সাথে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে