নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একটি বাড়ীর যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত চলাচলের পথে হঠাৎ বেড়া দিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক বন বিভাগের কর্মকর্তা। এতেকরে গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়ীর বাসিন্ধারা অবৈধ বাধার কারনে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৩ নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দিঘদাইর নোয়া বাড়ীর মৃত আলী হোসেন মাষ্টারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বন বিভাগের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন শাহীন ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি সমাধানের লক্ষে গত ২৭ মে শুক্রবার স্থানীয় সালিশদারের মাধ্যমে বসে সমাধানের কথা থাকলেও তা পাত্তা দিচ্ছে না সাবেক এ বন বিভাগের কর্মকর্তা শাহীন।
নোয়া বাড়ির স্কুল শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার, আল আমিন ও নাজমূল সানি বলেন, আমরা স্কুলে যেতে পারি না, কে যেন আমাদের চলাচলের পথে বেড়া দিয়ে রেখেছে। আমরা এর সমাধান চাই।
ভুক্তভোগী সৈয়দ আহমেদ শাহেব আলী, আব্দুর রশিদ ও আবুল বাশার বলেন, আমাদের বাড়ীর দক্ষিণ ইশার মৃত আলী হোসেন মাষ্টারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বন বিভাগের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন শাহীন গত এক সপ্তাহ আগে শতবছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। সে হাজীগঞ্জে বসবাস করেন। মূলত তার ভাগের গাছ আমাদের এরিয়া হেলে পড়ে আছে। তা কাটার কথা বললে সে না কেটে আমাদের চলাচলের পথে বেড়া দিয়ে রেখেছে। স্থানীয় ইউপি সদ্যের বরাবর অভিযোগ জানালে গত শুক্রবার শাহীন বসবে বলে সময় দেয়। কিন্তু পরে আর বৈঠকে না বসে বরং হাজীগঞ্জ থেকে বিভিন্ন লোকের নাম বেচে আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। যে কারনে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তাই আমরা সমাধানের লক্ষে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, সালিশদারের মাঝে এক প্রকার পক্ষ বিপক্ষ ঝামেলা সৃষ্টি করে শাহিন আর বৈঠকের দিন সমাধানে বসতে আসেনি। এখন বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিয়েছে।