মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
হাজীগঞ্জে লিচু খেতে খেতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জানলেন লোকজন। রোববার বিকালে হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালীন সময়ে আড়াইশ লিচু ক্রয় করে উপস্থিত উৎসুক জনতা ও পথচারীদের খাওয়ালেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম।
এদিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় বাজারের চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নগদ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন তিনি। কি কারণে এ জরিমানা এবং ভোক্তা অধিকার আইনে কতদিন জেল বা কত টাকা জরিমানা হতে পারে এবং এ বিষয়ে কার (ক্রেতা ও বিক্রেতা) কি করণীয় তা উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের উদ্দেশ্য হচ্ছে জরিমানা নয়, সচেতনতা। আপনারা (ক্রেতা ও বিক্রেতা) সচেতন হলে আমরা সবাই উপকৃত হবো।
এ উপস্থিত উৎসুক জনতা ও পথচারীদের লিচু কিনে খাওয়ানো ইউএনও প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন উপস্থিত লোকজন। এর মধ্যে আব্দুর রশিদ (৫০) নামের একজন জানান, ওনার (ইউএনও) আচরনে আমরা আনন্দিত ও খুশি। আজ (রোববার) লিচু খেতে খেতে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে পারলাম।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক, উপজেলা স্যানেটারী পরিদর্শক মো. সামছুল ইসলাম রমিজ, বিএসটিআই এর কুমিল্লা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন।