কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক ভার্চুয়ার সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বলেন, ১ চুলার গ্যাসের দাম প্রতি মাসে ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা এবং ২ চুলার ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিটারভিত্তিক চুলার গ্যাসের দাম ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা করা হয়েছে।
গৃহস্থালি ছাড়া সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের গ্যাসের দাম ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ০২ টাকা, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র, এসপিপি ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাসের দাম ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।
বৃহৎ শিল্পের গ্যাসের দাম ১০ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পের গ্যাসের দাম ১০ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৭৮ টাকা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও অন্যান্য শিল্পের গ্যাসের দাম ১৭ দশমিক ০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ দশমিক ৭৮ টাকা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, চা শিল্পের (চা বাগান) গ্যাসের দাম ১০ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৯৩ টাকা করা হয়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ২৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ৬৪ টাকা। সিএনজি ফিড গ্যাসের দাম ৪৩ টাকা অপরিবর্তিত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গৃহস্থালি ছাড়া সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র; ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র, ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্র; সার; শিল্প; চা বাগান; বাণিজ্যিক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এবং সিএনজি স্টেশনের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন মিটারে (মাসিক অনুমোদিত লোডের বিপরীতে) শূন্য দশমিক ১০ টাকা হারে ডিমান্ড চার্জ প্রযোজ্য হবে।
তবে বিদ্যুৎ গ্রাহক শ্রেণির আওতাধীন কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সার গ্রাহক শ্রেণির আওতাধীন কোনো সার কারখানা কোনো মাসে ১৫ দিন বা তার বেশি বন্ধ রাখা হলে ওই মাসে ডিমান্ড চার্জ প্রযোজ্য হবে না।