মতলব উত্তর ব্যুরো:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক ও ইভটিজিং বিরোধী সচেতনতামূলক এবং সমাবেশ করেছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও পরে ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজে সচেতনতামূলক প্রচারণায় বক্তৃতা করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি যাকে ধরেছে, সে ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং ধুমপান থেকে শুরু করে কোন মাদক সংক্রান্ত দ্রব্যের সাথে জড়ানো যাবে না। তাহলে নিজের জীবন ধ্বংস হবে এমনকি পরিবার ও সমাজ, সবশেষে দেশ ধ্বংসের দিকেশিকার হলে থানা পুলিশের সহায়তা নিবেন।
ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসাইন মো. ইয়াছিন সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া শিক্ষক একেএম আজাদ এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার, মো. গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, কামরুল হাসান, এএম হাকিম হাকিম খান, প্রভাষক কামরুন নাহার, প্রভাষক কোহিনুর আক্তার (রাবি), প্রভাষক মান্না আক্তার, প্রভাষক জাবেদ আহাম্মদ চৌধুরী, আহসান উল্লাহ, বিপুলা রায়, হাবিবুর রহমান পরি ও প্রদর্শক হান্নান সরকার প্রমুখ। এদিকে ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ, সিনিয়র শিক্ষক আবদুল হক’সহ সকল শিক্ষকবৃন্দ।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়েধাবিত হয়ে যাবে। সুতরাং উন্নত জীবন গড়তে মাদক মুক্ত থাকতে এবং মানসম্মত লেখাপড়া করতে হবে। জীবনে কে কি হবে শিক্ষা জীবন থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী সবাই এগিয়ে যেতে হবে।
ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ যদি ইভটিজিংয়ের শিকার হোন তাহলে ‘৯৯৯’ এ কল করবেন অথবা থানা পুলিশের মোবাইলে কল করবেন। নিজে কিছু করতে যাবেন না, আইন হাতে তুলে নিবেন না। আর যারা ইভটিজিং করে বেড়ায় তারা নিশ্চয় নিচু মানসিকতার লোক। তারা সমাজ ও দেশের ভালো চাইতে পারে না। ইভটিজিং হল উত্যক্ত করা। উত্যক্ত করার কারণে একজন মেয়ে অথবা ছাত্রী আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়ে নেয়। এর কারণে হারিয়ে যায় মেধাবী মুখ। তাই ইভটিজিংয়ের মতো জঘন্য কাজ কেউ করবেন। আর কেউ ইভটিজিংয়ের বাংলাদেশ নতুন উদ্যমে জাগ্রত হলো। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়েদিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর সহযোগিতা এবং মেধাবী মুখ কিছু মানুষের কারণেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সাহস যুগিয়েছেন। তাই যারা আজকের শিক্ষার্থী তারা আগামী দিনে পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় কিছু করে বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। একটি বাংলাদেশ দিয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সেই বাংলাদেশকে উন্নত দেশের শিখড়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই উন্নত দেশ গড়তে মেধাবীদের বিকল্প নেই।