মতলব উত্তর ব্যুরো :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে ছেঙ্গারচর পৌর অডিটোরিয়ামে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত, মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চাঁদপুর জেলা জাপার সভাপতি আলহাজ্ব এমরান হোসেন মিয়া। বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্তম্ভ হল জাতীয় পার্টি এবং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বাংলাদেশের মেঘা প্রকল্প উন্নয়নের ছক এঁকেছেন। বাংলাদেশের কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করে গেছেন।
এমরান হোসেন মিয়া আরও বলেন, চাঁদপুর তথা মতলবে এরশাদের উন্নয়ন এখনো কথা বলে। মতলবে ইরিগেশনের জন্য বিশাল বেরীবাঁধ নির্মাণ, প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ সহ আরো অনেক উন্নয়ন করেছেন, যা বলে শেষ করা যাবে না। আমি আজকের এই দিনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আত্মার শান্তি কামনা করি। এবং মতলবে এরশাদের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী বৃহত্তর কুমিল্লার প্রথম মেজর জেনারেল মরহুম সামছুল হক। আমি তাদের জন্যও সকলের কাছে দোয়া চাই।
মতলব উত্তর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সোহরাফ মিয়াজির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় জাপার সদস্য মোল্লা বোরহান উদ্দিন, চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক অ্যাডভোকেট লতিফ শেখ, শহর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহŸায়ক ইব্রাহিম দেওয়ান স্বপন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন হিরু, জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি নান্নু ভূঁইয়া, শহর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহŸায়ক মফিজ বেপারী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডিএম আলাউদ্দিন, মতলব উত্তর উপজেলা জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাইনুদ্দিন মাষ্টার, সহ-সভাপতি করিম মোল্লা, ছেংগারচর পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি সেলিম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির গাজী, মতলব উত্তর উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকলের মাঝে তাবারক বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।