মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জে দুই স্ত্রীকে কাছে না পেয়ে এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে মো. মাহবুব আলম (৪৫) নামের এক প্রবাসীর আত্মহননের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে এদিন সকালে মো. মাহবুব আলমের নিজ বসতঘর থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন একসময় তিনি আত্মহত্যা করেন। তিনি উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহবুব আলম পাঁচ বছর আগে কাতার থেকে দেশে আসেন। এরপর তার প্রথম স্ত্রী দুই কন্যা সন্তান নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি আবারে (দ্বিতীয়) বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েকমাস পর দ্বিতীয় স্ত্রীও তার বাড়িতে আসছেনা।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে নিজ বসতঘরে আত্মহত্যা করেন মাহবুব। তারা পাঁচ ভাই। সব ভাইয়ের পৃথক সংসার। মাহবুব আলমেন দ্বিতীয় স্ত্রী গত সাত-আট মাস ধরে বাবার বাড়িতে থাকেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন জানান, প্রবাস থেকে আসার পর প্রথম স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। পরের স্ত্রীও তার বাড়িতে আসছে না। এছাড়াও মাহবুব অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিলেন বলে জানতে পেরেছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবায়ের সৈয়দ জানান, মাহবুব আলমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের এবং পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।