হাজীগঞ্জ ব্যুরো :
হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারের নিউ সুপার মার্কেটের একটি দোকানের তালায় বালু ও সুপার গ্লু (আঠা) দিয়ে অকার্যকর এবং অপর একটি দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রায় অর্ধ-লক্ষার্ধিক টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই মার্কেটের দোকান মাদ্দাহ খাঁ স্যানেটারি এন্ড ইলেকট্রিকের ১৩টি তালায় বালু ও সুপার গ্লু দিয়ে অকার্যকর করে দেয়া হয়।
এছাড়াও একই মার্কেটের আল আরাবি পাঞ্জাবি টেইলার্স ও ফ্রেবিক্সের তালা ভেঙ্গে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে এ দিন সকালে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, ওই মার্কেটের সত্ত্বাধীকারী মিজানুর রহমান পাটওয়ারী ও মাদ্দাহ খাঁ স্যানেটারি এন্ড ইলেকট্রিকের সত্ত্বাধীকারী মো. রুহুল আমিন। পূর্ব শত্রুতার জেরেই এমনটি করা হয়েছে বলে দাবি করেন মার্কেটের সত্ত্বাধীকারী।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মো. মোস্তাক আহম্মেদ সিব্বির ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিসবাহুল আলম চৌধুরী এবং বাজারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বালু ও আঠা লাগানো দামি ১৩টি তালা কেটে ফেলা হয়। এদিকে এই দাবির সত্যতা প্রমাণে কোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ দেখান মার্কেট ও দোকানের সত্ত্বাধীকারী।
মার্কেটের সত্ত্বাধীকারী মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, নিউ সুপার মার্কেটের অংশিদারদের একজন রব কাজির সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের সূত্র ধরে আমাকে ও আমার ভাড়াটিয়াসহ অন্যান্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে রব কাছি ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমি মাননিয় আদালতেও মামলা করলে (১৯২/২০১৯) আদালত আমার পক্ষে রায় দেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আদালত কর্তৃক রায়ের পর তারা (রব কাজি ও তার পরিবারের সদস্যরা) আমাদেরকে আরো বেশি হয়রানি করে আসছে। এ নিয়ে আমি আদালতে ও থানায় অভিযোগ দিয়েছি। সবশেষ আজ (বৃহস্পতিবার) মাদ্দাহ খাঁ স্যানেটারি এন্ড ইলেকট্রিকের দোকানের ১৩টি তালায় বালু ও সুপার গ্লু দিয়ে অকার্যকর করে দেয় রব কাজির ভাগিনা, সাকছিপাড়া গ্রামের আহম্মেদ আলী বেপারীর ছেলে আমিন (৩৫)।
এর প্রমান রয়েছে ওই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে। সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা যায়, আমিন দোকানের তালাগুলোতে বালু ও আঠা দিচ্ছে। ওই সময়ে মার্কেটের বাহিরে এবং ওই দোকানের সামনে রব কাজির ছেলে মো. হারুন (৩৫) ও মো. জুয়েল (৩০) দাঁড়ানো ছিল। আমিসহ বাজারের অন্যান্য লোকজন তাদের দেখতে পেয়েছি। তখন ভাবলাম, তারা এমনিতেই মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই কিছু তাদের কিছু বলিনি।
এ বিষয়ে রব কাজির ছেলে মো. হারুন ও মো. জুয়েল এবং ভাগিনা আমিনকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রব কাজির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিসবাহুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তারা অভিযোগ দিলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।