আরকেনিউজ ডেস্কঃ
হাজীগঞ্জ বাজারস্হ রামগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত মফিজ স’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউস নামে একটি করাত কলের ধুলাবালি ও গাছের গুঁড়ি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করাত কল থেকে সৃষ্টি হওয়া গাছের ভুসি ও ধুলা বাতাস উড়ে চারপাশে বসবাস করা বাসিন্দাদের বাসা বাড়ি ও দোকানে যাচ্ছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে রয়েছে বাসিন্দারা। আবার অন্যদিকে ব্যাপক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
এছাড়াও স মিলের সামনে প্রধান সড়কের পাশে গাছের বড় বড় গুড়ি ফেলে রাখায় পথচারীদের রাস্তায় চলাচল মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে এবং যে কোন সময় বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই একটি জনবহুল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা চালিয়ে আসছে মফিজ স’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউজের কর্ণধর মফিজুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজিগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকার, বিশ্বরোডের চৌরাস্তা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে রামগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত মফিজ শ’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউস স মিলটির ১০০ মিটার দক্ষিনে একটি বেসরকারি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল রয়েছে। উত্তর দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। পশ্চিম দিকে রামগঞ্জ-হাজিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবস্থিত। পূর্বদিকে কয়েকটি আবাসিক বহুতল ভবন রয়েছে।
আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর ব্যাপক পরিমাণ করাত কলের ধুলাবালি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকয়েকজন দোকানদার জানান, করাত কলের ধুলাবালি মারাত্মকভাবে তাদেরকে ক্ষতি করছে। দোকানে সব সময় ধুলাবালি এসে পড়ে। বারবার পরিষ্কার করেও লাভ হয় না। ফলে দোকানে বসতে চায় না ক্রেতারা
করাত-কল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, হাসপাতাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা পরিবেশ বা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এইরূপ কোন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এর মধ্যে কোন করাত কল স্থান করা যাবে না।
তাহলে কি ভাবে জনবহুল একটি জায়গায় এমন পরিবেশ দূষণকারী করাত কল চলছে ?জানতে চাইলে এ বিষয়ে মফিজ শ’মিল এন্ড ফার্নিচার হাউসের মালিক বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি। আমার লাইসেন্স আছে। সরকার আমারে লাইসেন্স দিয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পেক্ষাপটে জনবহুল এলাকা করাত কল স্থাপন করা যায় না, এটা যেহেতু আগে থেকেই ছিল কিন্তু বর্তমানে এটা করা যায় না, সেজন্য আমি মফিজ স মিলের মালিক কে বলেছি করাতকলটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব এর টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রাশেদুল ইসলাম বলেন, এতে যদি পরিবেশ দূষণ হয়। তাহলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবো।
জনবহুল এমন একটি স্থানে পরিবেশ দূষণকারী এই করাতকল অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।