মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
শেষ হয়েছে হাজীগঞ্জের ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম। এতে নতুন করে ভোটার হলেন ২৮ হাজার ২৭০ জন। মারা যাওয়ায় পূর্বের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৭ হাজার ৮৯১ জন এবং স্থানান্তরিত হয়েছেন ৪৫০ হয়েছেন। নতুন করে যারা ভোটার হয়েছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৬৫ জন ও নারী ভোটার ১৩ হাজার ২০৫ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওবায়েদুর রহমান।
এর আগে হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একযোগে গত ৩০ জুন থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শেষে গত ৩০ জুলাই থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছবি তোলা ও ফিঙ্গার ফিন্টের (আঙ্গুলের ছাপ) মাধ্যমে নতুন ভোটারের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এখন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় নতুন ভোটারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যানিং করে সার্ভারে সংযুক্ত করা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ভোটার হয়েছেন ৪ হাজার ১৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ হাজার ২৯৯ জন ও নারী ভোটার ১ হাজার ৮৩৩ জন। রাজারগাঁও ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ২ হাজার ২৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ২৫১ জন ও নারী ভোটার ১ হাজার ২১ জন।
বাকিলা ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ২ হাজার ৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৪৩ জন ও নারী ভোটার ৯৯১ জন। কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১৪ জন ও নারী ভোটার ৭৮১ জন। কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ২ হাজার ৬৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৩৯৪ জন ও নারী ভোটার ১ হাজার ২৯১ জন।
হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ২ হাজার ৪১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন ও নারী ভোটার ১ হাজার ১৮১ জন। বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ২ হাজার ২০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ১৯০ জন ও নারী ভোটার ১ হাজার ১৯ জন। বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৫১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৫০ জন ও নারী ভোটার ৬৬০ জন।
হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ২ হাজার ১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৯৬ জন ও নারী ভোটার ৯২০ জন। গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ২ হাজার ৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ১২৫ জন ও নারী ভোটার ৮৭৮ জন। গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১৬ জন ও নারী ভোটার ৮৩৬ জন।
হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯৭ জন ও নারী ভোটার ৬৪৬ জন। দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৩৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৩২ জন ও নারী ভোটার ৬৪৩ জন। সবশেষে পৌরসভা ও সকল ইউনিয়ন মিলে রিজার্ভ ডে’তে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ১২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৩০ জন ও নারী ভোটার ৪৯৮ জন।
সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওবায়েদুর রহমান জানান, ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপজেলায় ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে আমাদের উপজেলায় সুশৃঙ্খলভাবে ও সুন্দরভাবে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন আমরা সার্ভারে তথ্য প্রদানের জন্য স্ক্যানিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হলে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তারা নির্বাচন কমিশনের অনলাইন থেকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।