মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
হাজীগঞ্জে কথিত নানার ধর্ষনে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে অবৈধ গর্ভপাত করে নবজাতক শিশুটিকে ডাস্টবিনে ফেলে দেন। এতে করে নবজাতক শিশুটি (ছেলে) মারা যায়। আজ বুধবার বিকালে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকায় গাজী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার ধর্ষন ও গর্ভপাতের অভিযোগে নানা সিরাজুল ইসলামকে (৫৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। একই সময়ে সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বকুল, পুত্রবধু সীমা আক্তার ও গর্ভপাতকারী হাজীগঞ্জ ইসলামীয়া মর্ডান হাসপাতালের আয়াসহ জড়িতদের আটক করা হয়।
আটককৃত কথিত নানা সিরাজুল ইসলাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের দাই বাড়ীর বাসিন্দা। তিনি হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন আড়ং বাজার সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন এবং সেখানেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এই গর্ভপাত করানো হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মহসিন ও মো. ইব্রাহিম উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়ন থেকে কথিত নানা, তার মেয়ে, পুত্রবধু ও আয়াসহ জড়িতদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এ সময় তাদের স্বীকারোক্তিতে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাজী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পৌরসভার ময়লা ফেলানো ভ্যানগাড়ীতে থাকা বালতির মধ্য থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভ্যানগাড়ী ও বালতি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার ও ধর্ষনের অভিযোগে সিরাজুল ইসলামসহ গর্ভপাতের অভিযোগে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।