মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে মো. ইয়াছিন হোসেন (২৬) নামক এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে ওমানের সালালাহ্ প্রদেশের সর্বতআরা নামক এলাকার নিজ বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সালালাহ্ অঞ্চলের প্রাদেশিক পুলিশ।
মো. ইয়াছিন হোসেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ড এনায়েতপুর গ্রামের নোয়াব আলী বাড়ির মো. জহিরুল ইসলামের বড় ছেলে। তার বাবা, মা, স্ত্রী, তিন বছর বয়সি এক মেয়ে ও নবজাতক দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। ছুটিতে এসে গত পহেলা ফেব্রুয়ারী আবারো ওমানে পাড়ি দেন ইয়াছিন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ইয়াছিন বাবা হয়েছিলেন। তার স্ত্রী দুইটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। তাই ইয়াছিনসহ পরিবারের সবাই খুশিতে আত্মহারা। সেই খুশিতে বৃহস্পতিবার ২২ কেজি মিষ্টি খাওয়ানোর কথা ছিল। কিন্তু বুধবার রাতে তার মৃত্যুর খবর শুনে খুশি বিষাদে পরিনত হয়েছে।
ইয়াছিনের বাবা জহিরুল ইসলাম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা নয়। তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, আমরা ছবিতে দেখেছি, ইয়াছিন গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় থাকলেও ফ্লোরের সাথে হাঁটু গেঁড়ে বসে ছিল। তাছাড়া তার শরীরে আঘাতের চিহৃ ও পরনের প্যান্ট খোলা ছিল।
তিনি আরো জানান, ইয়াছিনের সাথে লক্ষ্মীপুর জেলার দুই যুবক সেখানে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করতো। এছাড়াও সম্প্রতি তার মালিকের কাছে সহকর্মীরা নালিশ দেন। হয়তো তারাই ইয়াছিনকে হত্যা করে থাকতে পারে। তাই সুবিচার চেয়ে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান।
ওমানে থাকা ফয়সাল মজুমদার নামের হাজীগঞ্জের এক যুবক জানান, ইয়াছিনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। পুলিশ তার মরদেহ থানায় নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, লাশের অবস্থা দেখে বুঝা যায়, কেউ তাকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ আলামত সংগ্রহ করেছে। আশাকরি রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করতে পারবে পুলিশ।
ইয়াছিনের মরদেহ দেশে আনার আবেদন জানিয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ও স্থানীয় কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেন মজুমদার জানান, মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনসহ তার মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করছি।