শাখাওয়াত হোসেন শামীম:
হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার কলেজ ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে
মিলাদ ও দোয়া এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্ম বার্ষিকী
পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান সভাপত্বিত করেন,কলেজের অধ্যক্ষ মো: মাসুদ আহাম্মদ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো: মাসুদ আহাম্মদ বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাঙালি জাতি আরো বেশি উপকৃত হতো। তাকে হানাদার বাহিনীর দোষররা নির্মমভাবে স্ব-পরিবারে হত্যা করে, বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রাকে কুঠার আঘাত করেছে। তাই বাঙালি জাতি এদেরকে কখনো ক্ষমা করবেনা।
অধ্যক্ষ মো: মাসুদ আহাম্মদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে শেখ রাসেল হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে। তিনি ১৫ আগষ্টে, মুক্তিযুদ্ধে এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্ম-ত্যাগকারী শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ মাসুদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার উল্যা,গভণিং বডি’র অভিভাবক সদস্য, শামসুজ্জামান মুন্সী, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমা আক্তার, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ মাকছুদুর রহমান, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস, একাদশ শ্রেণির ছাত্রী রঞ্জীতা পাল।
অনুষ্ঠান পবিত্র কুরআন থেকে তেলোয়াত করেন গ্রন্থাকার প্রভাষক ফয়েজ আহমেদ, গীতাপাঠ করেন ল্যাব সহকারী প্রদীপ চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ.ন.ম. মফিজুর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল সহ ১৫ আগষ্টে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সংসদ সদস্য, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন, দাতাসদস্য,গভণিংবডি’র সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে তাবারুক বিতরণ করা হয়।
