মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তর’সহ জেলার সকল উপজেলায় দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালকদের দৌরাত্ম। যার ফলে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা।
প্রতিদিন মতলব উত্তর উপজেলায় বেরুলেই দেখা যায় উঠতি বয়সের ছেলেরা বেপরোয়া গতিতে বিভিন্ন কোম্পানীর উন্নত মডেলের মোটর সাইকেল চালিয়ে থাকেন।
এদের বেশিরভাগই ১৫-১৬ বছর হতে শুরু করে ২০-২২ বছর বয়সী। ওই সব চালকরা যেকোনো রাস্তায় মোটর সাইকেল বেপরোয়া গতিতে ও প্রচন্ড শব্দ করে চালিয়ে বেড়ায়।
তাদের এমন বেপরোয়া গাড়ি চালনায় আতংকিত হয়ে পথ চলতে হয়। সচেতন মহলের অভিমত, এসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণরা এমন ভাবে গাড়ি চালায় তাদের গাড়ির শব্দ এবং দ্রুত গতির বেপরোয়া চালানো দেখে অনেকেই হতবাক না হয়ে পারছে না।
সড়কে বেরুলে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যানযট লেগে থাকে। তারা সেই যানজটের ভেতর দিয়েও ট্রাফিক সিগনাল না মেনে বেপরোয়া ভাবে মটর সাইকেল চালিয়ে থাকেন। তাদের কারণে রাস্তায় আরো বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক, যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের অধিকাংশ মোটর সাইকেলই লাইন্সেসবিহীন বলে জানিয়েছেন একটি মহল। তাদের প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র নেই। এভাবে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য অভিভাবকদেরই দায়ী করছেন সচেতন মহল।
এ সব অবৈধ মোটর সাইকেল চালিয়ে তারা নির্জন স্থানে গিয়ে মাদকসেবন, চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধমুলক কাজ করে থাকে।
বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর কারণে দিন দিনই দুঘর্টনা বাড়ছে। গত দুইদিনে মতলব উত্তর উপজেলায় মোটর সাইকেল আরোহী সড়ক দুঘর্টনায় ৫জন নিহত ও ১জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন প্রতিদিনই হাসপাতালে গিয়ে সড়ক দুঘর্টনার কোনো না কোনো মোটর সাইকেল আরোহীর গুরুতর আহত হওয়ার খবর জানা যায়।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা গবেষকেদের মতে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাগুলো মূলত ঘটে বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা ও চলন্ত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলা। হেলমেট ব্যবহার না করা ও নিম্নমানের হেলমেটের কারণেও দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের এক তথ্য বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়া প্রায় ৩৫ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। এর মধ্যে রাজধানীর বাইরে থেকে রোগীই সবচেয়ে বেশি আসে। তবে সম্প্রতি রাইড শেয়ারিংয়ে থাকা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত মানুষ আসার সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
তাই এ সকল তরুণদের বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানো রোধ করতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের অর্থদন্ড দিলে, এসব যুবকরা কিছুটা সতর্ক হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।