তিতাস গ্যাস খেকো টেকনিশিয়ান খায়েরের সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। সারুলিয়ায় আলিশান ৭ তলা বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।
সাবেক কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জে আসার জন্য দৌড়ঝাপ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
তিতাস গ্যাস এর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী টেকনিশিয়ান খায়ের অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নামে-বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে তিতাস গ্যাস খেকো খায়েরের দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় । নারায়ণগঞ্জে তিতাস অফিসে দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ- সদর এলাকায় মিল-কারখানা ও বসতবাড়িতে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা, এবং সাবেক কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ থেকে তিতাসের হেড অফিসে বদলি হলেও হেড কোয়ার্টারে বসে অবৈধ সংযোগ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। বসতবাড়ি ও মিল কারখানা, থেকে প্রতি মাসে চুলা প্রতি মাসে মিল কারখানা থেকে মনগড়া মত যার কাছ থেকে যত নেয়া যায় সেই ভাবে মাসিক উত্তোলন করে নিজের ব্যক্তিগত কোষাগারে জমা করছেন।
তিতাস গ্যাস খেকো খায়ের গ্যাসের অবৈধ সংযোগ এর টাকা দিয়ে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকার রানিমলের পূর্ব বক্স নগর এলাকায় ছয় তলা একটি আলিশান ভবন, ডেমরার রামপুরা রোডের মিরপাড়া হাজি সি এন জি পাম্পের পিছনে পাঁচ কাঠার একটি প্লট সহ নামে বেনামে সম্পদের পাহার গড়েছেন তিনি।
গ্যাস খেকো খায়ের শ্বশুর শাশুড়ী স্ত্রী সন্তানদের নামে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। এই সকল দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে গ্যাস খেকো খায়েরের বলে আমি তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে টাকা খেয়েছি তাতে আপনার কি?
এইদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী বিভিন্ন মিল কারখানা ও বাসা বাড়ির মালিকদের সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসে আরো অনেক তথ্য অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা সবাই বলেন খায়ের সাহেব হচ্ছেন তিতাস গ্যাস অফিসের ভদ্রলোক তার কথায় অনেক মধু চেহারায় ভদ্রলোকের ছাপ মনমতো টাকা না দিলেই দেখা যায় আসল চেহারা তিনি যেকোনো মিল কারখানা ও বসতবাড়িতে টাকা দিলে যখন-তখন গ্যাস লাইন সংযোগ দিতে পারেন। সরকারি ভাবে বৈধ চুলা প্রতি যত টাকা দিতে হয় ঠিক অবৈধ চুলার সে হিসেবে টাকা দিতে হয় খায়ের কে।নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিঃ এর সিবিএ এর সহ-সভাপতি বলে কথা।
তারা আরো জানান, তিতাসের টাকা আমরা ঠিকই দেই পকেট ভরছে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারিদের সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।
অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারিরা জানান খায়ের তিতাসের হেড অফিসে বদলি হলেও সাবেক কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ তিতাস অফিসের আওতাধীন এলাকায় খায়েরের তিতাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া বাসাবাড়ি কল কারখানা থেকে নিয়মিত মাসিক চাঁদা আদায় করছে তার নিয়জিত লোকের মাধ্যমে। অবৈধ সংযোগ কারিরা জানান আমরা বৈধ সংযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছি সরকারি ভাবে সংযোগ বন্ধ থাকায় আমরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণ করেও ভাড়া দিতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে অবৈধ সংযোগ নিচ্ছি সে কারনে কাকে টাকা দিচ্ছি বলা যাবে না। খায়েরের সম্পদ ও ব্যাংকে টাকার বিবরণী নিলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য।
বাড়ি করার কয়েক বছর পর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে মেনটেনেন্স লোন করেছেন গ্যাস খেকো খায়ের।