হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগের ৬ মাস পর ফার্নিচার মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ। উভয় পক্ষ মালামাল দাবি করার কারণে উদ্ধার কৃত মালামাল সনাক্ত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসেন।
জানাযায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের ভাটরা মজুমদার বাড়ির আলী আকবর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ইমাম হোসেন হাজীগঞ্জ থানায় গত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে দোকানের ফার্নিচার মাল চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে একই গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির কালু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হারুনকে চুরি হওয়া মালামালের বিষয়ে অভিযুক্ত করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানায় ৬ মাস পূর্বে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রব মাওলা সুপার মার্কেটের ফার্নিচারের দোকানের সামনে বাদী, বিবাদীর সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। বাদী ইমাম হোসেনের সাথে বিবাদী হারুনের তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়। ইমাম হোসেনকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক হুমকি-ধমকি প্রদান করে বিবাদী হারুন। পরে তর্ক-বিতর্ককে একদিন পর বাদীর দোকানে তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দোকানে থাকা ফার্নিচার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ওই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগের দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর ১৬ মার্চ ২০২৫ ওই মালামাল দ্বারা কাজ করা অবস্থায় বিবাদীর ভাই মহসিনকে হাতেনাতে পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে জানানো হলে তিনি সরজমিনে গিয়ে ওই ফার্নিচারের মালামাল থানা নিয়ে আসে এবং উভয়পক্ষকে মালামালের উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে সনাক্ত করতে বলে। তবে তারা দুজনেই তাদের নিজের মাল বলে কথা কাটাকাটি করলে কোন সূরা হয়নি।
বাদী ইমাম হোসেন বলেন, ৬ মাস পূর্বে আমার দোকান থেকে চুরি হওয়া ফার্নিচার মালামাল এগুলো। এ মালামাল যে আমার দোকানের এতে কোন সন্দেহ নাই। আমি শতভাগ নিশ্চিত এই মালামাল আমার। তারা যতই বলবে তাদের তবে তা সঠিক নয়। বাদী ও বিবাদীর ভাইয়ের বক্তব্যের কারণে থানা পুলিশ প্রশাসন বিপাকে পড়ে।
বিবাদী হারুন মিয়ার ভাই মহসিন বলে, এগুলো ইমাম হোসেনের ফার্নিচার এর মালামাল নয়। আমার বিল্ডিং এর কাজের ফার্নিচার মালামাল। আমি অনেক ভাবে পুলিশ প্রশাসনকে বুঝাইতে চেষ্টা করেছি। তবে প্রশাসন ওই অভিযোগের আলোকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার কথার কোন কর্ণপাত হচ্ছে না। আমি কয়েকটি প্রমাণও দিয়েছি।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মো: আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি ক্ষুদ্র হলেও একেবারে জটিল। ইচ্ছে করলেও কোন ফার্নিচারের মিস্ত্রি দিয়েও এগুলো সনাক্ত করা অসম্ভব। প্রায় ৬ মাস পূর্বে অভিযুক্ত হারুন এর ভাই এর কাছ থেকে ফার্নিচার মালামাল উদ্ধার করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী নির্দোষ প্রমাণিত হবে। তাই এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না।