জসিম উদ্দিন, ফরিদগঞ্জ:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দায়চারা গ্রামে আবু তাহের তপদার (৭৫) এর ১৮টি মেহগুনি গাছ অবৈধভাবে কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কর্তনকৃত গাছ গুলো ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে। ভুক্তভোগী আবু তাহের তপদার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বসতবাড়ি থেকে কয়েক শত গজ দূরে আবু পাটোয়ারী ব্রীজের রাস্তার পূর্ব পাশে সরদার বাড়ীর সামনে আমার পত্রিক ৭৫ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। আমার সম্পত্তির উত্তর পাশে আমাদের একই বাড়ির আলমগীর হোসেন (৪৫) বসতবাড়ি করে। তাদের বসতবাড়িতে যাওয়া-আসার কোন রাস্তা না থাকায় আমি মানবিক দিক চিন্তা করে বিগত ১৫ বছর পূর্বে হাঁটা চলাচল করার জন্য ৩ফুট পথ দেই।
গত ৩/৪ দিন আগে এসে দেখি আমার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে নাজিম উদ্দিন আমার বাগানের ১৮ টি মেহগনি গাছের নিচ দিয়ে শিকল কেটে দিয়ে উপর দিয়ে মাটি দিয়ে রেখেছে যেন একটু বৃষ্টি বা বাতাস আসলেই গাছগুলো মাটিতে পড়ে যায় এবং তার চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত হয়। কয়েকটি গাছ ইতিমধ্যে মাটিতে পড়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে আমি আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমার ছেলে নাজিম উদ্দিন এই কাজটা করেছে। তারা শুধু গাছকেটে ক্ষন্ত হননি, আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে যে তারা ক্ষমতার দাপট দিয়ে জোরপূর্বক আমার সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে নেবে। আলমগীর হোসেন প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে নারাজ।
আমি এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সকলের কাছে এর বিচার চাই। আমি নিরীহ মানুষ অসুস্থতার কারণে কারো কাছে যেতে পারছি না। আমি হাঁটাচলা করতে হলে কোন কিছুর উপর ভর রেখে চলতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে আবু তাহের তপদারের গাছগুলো অন্যায় ভাবে বিনষ্ট করেছে। তারা বাপ ছেলে খুবই দুষ্টু প্রকৃতির লোক। তাদের বয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে রাজি হয় না। তাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখেন তাদের বাড়ীর চতুর্দিকে যেভাবে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রেখেছে কোন একটা পশু-পাখিও তাদের এরিয়া তে ঢুকতে পারে না। অথচ আবু তাহের ব্যাপারী কে নিরীহ পেয়ে সে তার উপর এক রকম জুলুম অত্যাচার করছে।
এ বিষয়ে আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে বাড়িতে না পেয়ে মুঠোফোনে ও পাওয়া যায়নি