জহিরুল ইসলাম জয়:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত আলু উৎপাদন হয়েছে, যে কারণে ঠাই হচ্ছে না মজুদ রাখা কোল্ড স্টোরেজে। এমন বাম্পার ফলনে খুশি এখানকার চাষিরা। এ বছর মূলত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এমন ভালো ফলন হয়েছে বলে দাবি প্রান্তিক কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছরে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৫৮৫ হেক্টর জমি। উক্ত জমির পরিমাণ কমে যাওয়া শর্তেও চলতি মৌসুমে আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় আড়াইশ মেট্রিক টনের উপরে ।
উপজেলার একমাত্র মান্নান কোল্ড ষ্টোরেজে সর্বচ্চ দেড় লক্ষ টন আলু মওজুদ রাখা সম্ভব হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই প্রায় এক লক্ষ টন আলু মওজুদ রাখা হয়েছে।
তিন ফসলের মাঠ হিসেবে পরিচিত উপজেলার উত্তরাঞ্চলের কৃষি মাঠগুলো থেকে ইতিমধ্যেই আলু উত্তলন শেষ পর্যায়ে এসেছে। এরই মধ্যে আলুর জমিতে ইরি বোরো চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।
এদিকে গত কয়েক দিনে চাষীরা মাটির নিচ থেকে আলু তুলে তা বস্তাবন্দি করে রেখেছে। আর এখান থেকেই বেপারীরা ক্রয় করে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে কোল্ড স্টোরেজ সহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে।
উপজেলার পাতানিশ ও ধড্ডা গ্রামের ইউসুফ, বারেক, নান্নু ও চানমিয়া জানান, গত বছর আমরা বৃষ্টির কারণে আলু জমিতেই পৌঁছাতে হয়, যে কারনে ইচ্ছা করে আলু কম রোপন করেছি। কিন্তু চলতি বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে বাম্পার আলু উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু বীজ জাতের জন্য কোল্ড স্টোরেজে কিছু আলু রাখতে পারলেও মওজুদ রাখার তেমন সুযোগ নাই।
আলুর বেপারী রফিক মিয়া বলেন, মান্নান কোল্ড স্টোরেজে এবার টনপ্রতি ২৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে। তার পরেও আলু রাখার ঠাই হচ্ছে না।
মান্নান কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার অম্রিত লাল রায় বলেন, এবার ১ লক্ষ ২৫ হাজার টন আলু গোডাউন পূরনের লক্ষমাত্রা। টন প্রতি ২৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একশত টন আলু মওজুদ রাখা হয়েছে। তবে প্রতিদিন যে হারে আলুর গাড়ি আসছে এতে বুঝা যায় লক্ষমাত্রার অতিরিক্ত চাড়িয়ে যাবে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, এ বছর আমাদের ৫৮৫ হেক্টর কৃষি জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিল, কিন্তু সেখানে কমিয়ে ৪৬০ হেক্টরে আলু রোপন হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে আলু সঠিক সময়ে উত্তলন করা সম্ভব হয়েছে। যে কারনে আলুর ফলন ভালো হয়েছে।