চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার লোহাগড় বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহ আলম এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সরজমিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যায়, সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণীর মেধাবী ১ম থেকে ৩য় শিক্ষার্থীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বা টাচ মোবাইল বিতরণে অনিয়ম করা। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে।
সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নবম ও দশম শ্রেণীর রোল প্রথম থেকে তৃতীয় পর্যন্ত মেধা তালিকার মধ্যে ট্যাব বা টাচ মোবাইল দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও মাদ্রাসা সুপার শাহ আলম এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না মেনে নিজের ইচ্ছামাফিক রুল নং ৪ ও ৫ এমন ছাত্রীদেরকে ট্যাব বা টাচ মোবাইল প্রদান করে। ফলে মেধা তালিকায় যাদের রুল এক বা দুই একজন পেলেও বাদ বাকি শিক্ষার্থীরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এ নিয়ে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নবম শ্রেণীর ছাত্রী মোঃ হোসেনের মেয়ে মোসাম্মৎ ফাতেমা রুল ২ বাদ পড়ে। এদিকে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের না দিয়ে মাদ্রাসা সুপার শাহ আলম ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ আব্দুল গনি পাটোয়ারীর মেয়ে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোসাম্মৎ তাসফিয়া রোল ৪কে ট্যাব বা টাচ মোবাইল প্রদান করে। অপরদিকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোঃ মিজানের মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী মোসাম্মৎ মায়মুনা আক্তার ফারজানা রোল ৫কে মাদ্রাসা সুপার প্রধানমন্ত্রীর উপহার টাচ মোবাইল প্রদান করেন।
মায়মুনা আক্তার ফারজানা কে মোবাইল দেওয়ার দুই তিন সপ্তাহ পর ক্লাসে গিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের সামনে মোবাইল ফেরত দেওয়ার কথা বললে, ওই শিক্ষার্থী ক্লাসের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং অসুস্থ হয়ে যায়। বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী তার অভিভাবক মিজানকে জানান। মেয়ের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে অভিভাবক নিজান মেয়েকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফারজানা এখনো চিকিৎসাধীন আছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল গনি পাটোয়ারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান ,নিয়ম তান্ত্রিকভাবে আমার মেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ট্যাব বা টাচ মোবাইল পাওয়ার যোগ্য নয়। মাদ্রাসা সুপার কেন বা কি জন্য আমার মেয়েকে নিয়ম ভঙ্গ করে ট্যাব মোবাইল দিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার শাহ আলমকে মাদ্রাসায় গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়গুলো এড়িয়ে যান এবং তড়িঘড়ি করে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় কাজ আছে বলে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য আলী আহমেদ ও শাহিন হোসেন বলেন মাদ্রাসা সুপার শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছেন। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি