মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব কিছুই সোনালী রঙে রঙ্গিন। এমন ভাবে দাড়িয়ে আছে, প্রথম দেখায় যে কেউ মনে করবে এটা কোন মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। তবে কিছুখন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালে মনে হবে। এটি কোন মূর্তি নয়, আসলে একটি জীবন্ত মানুষ।
সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুর বড় স্টেশন মূলহেডে এমনই এক বিস্ময়কর পোশাকে অদ্ভুত ভঙ্গিতে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যাকে উন্নত বিশ্বে বলা হয়ে থাকে জীবন্ত মূর্তি বা লিভিং স্ট্যাচু। এর আগে বাংলাদেশে কোথাও এই ধরনের জীবন্ত মূর্তি কিংবা লিভিং স্ট্যাচু দেখা না। তবে ইউরোপ আমেরিকা কিংবা উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এ ধরনের জীবন্ত মূর্তি বা লিভিং স্ট্যাচু দেখা যায়।
জানা যায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিন (২৬) । পেশায় তিনি একজন ছোট টাইলস ঠিকাদার। গত কয়েক বছর ধরে এই টাইলসের কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন।
সাম্প্রতিক সময় তিনি শখের বসেই জীবন্ত মূর্তি কিংবা লিভিং স্ট্যাচু হয়ে। চাঁদপুর বড় স্টেশনের মানুষকে বিনোদন দিচ্ছেন। আল-আমিনের দাবি, বাংলাদেশের প্রথম জীবন্ত মূর্তি কিংবা লিভিং তিনি নিজেই। এর আগে দেশে কোথাও কোনদিন কেউ এ ধরনের লিভিং স্ট্যাচু হয়ে পারফর্ম করেনি। সেই জন্য তাকে এইভাবে দেখে কৌতূহলী মানুষ ভীড় জমান। কেউ বা আবার তোলেন সেলফি।
এই বিষয়ে আল আমিন বলেন, গত কয়েক মাস ধরে আমি আসলে ভাবতেছি আমি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হবো। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করবো। আমি ব্যতিক্রম কিছু করতে চেয়েছি। সেই জন্য ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাটি করে দেখলাম ইউরোপ আমেরিকাতে এরকম জীবন্ত মূর্তি বা লিভিং স্ট্যাচু হয়ে মানুষ রাস্তায় পারফর্ম করে। সেই থেকে আমি অনুপ্রাণিত এই গোল্ডেন ম্যানের ড্রেসটা ধারণ করে। জীবন্ত মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। চাঁদপুর বড় স্টেশনে।
এক প্রশ্নের জবাবে আলামিন জানান, আমি মূলত মানুষকে বিনোদন দিতে এ কাজটি করে থাকি। তবে আমি আমার পাশে একটি বাক্স রাখি । কেউ যদি খুশি হয় আমাকে ৫/১০ টাকা দেয়। আমি সেই টাকা নেই।