চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা মোল্লা বাড়ীতে সম্পত্তিগত বিরোধীদের জেরে চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় হাজার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্বর্ণা এলাকার সাতটি বাড়ির প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। পুরো বাকিলা ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় মসজিদ ও রয়েছে এ এলাকায়। রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় মুসুল্লি সহ সাধারণ মানুষ চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন,আবু মূসা, আবদুল কাদের,মুকাদ্দেস মোল্লা, কবির হোসেনসহ অন্যান্যরা জানান, অনেক পুরোনো এই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ, স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। এই রাস্তা ব্যবহার করে এই এলাকার হাজী বাড়ী, হাওলাদার বাড়ী, মিজি বাড়ী, কামার বাড়ী, বড় হাজী বাড়ী, কারওয়ান বাড়ী, মোল্লা বাড়ী, খামার বাড়ী,গাজী বাড়ীর প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। সম্পত্তিগত বিরোধের কারনে এখন এই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।
গেলো প্রায় এক বছর আগে আবদুল মান্নান চলাচলের রাস্তাসহ সম্পত্তি ক্রয় করে চলাচলের পথে প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি করে। চলাচলের সুবিধার্থে চওড়া দামে সম্পত্তি ক্রয় করে মসজিদে নামে ওয়াকপ করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও বিক্রয় করতে রাজি নয়। চলাচলের পথ প্রসস্থ করার দাবী সুষ্ঠু সমাধান চান মসজিদের মুসল্লীসহ সাধারণ মানুষ।
এদিকে স্থানীয় হাজী বাড়ীর বাসিন্দাদের দাবি নিজ বাড়ির পূর্বপুরুষ হাসান হাজী ও আদম আলী হাজী সম্পর্কে তালাতো ভাই ছিল। তৎকালীন সময় আত্মীয়তার খাতিরে বিয়াইকে মসজিদ ও রাস্তা ব্যবহারের জন্য ১২ফিট রাস্তার জায়গা মৌখিকভাবে দান করেন। দীর্ঘদিন তারা এ রাস্তা ব্যবহার করে আসছিল। তাদের মৃত্যুর পর সম্পর্কের অবনতি ঘটলে,বিএস রেকর্ডের পূর্বে তাদের ওয়ারিশগণ মারধর ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে সুকৌশলে রাস্তার উপর অবকাঠামো নির্মাণ করে রাস্তাটিকে সংকুচিত করে ফেলেছে। এছাড়া হাজী বাড়িতে দুজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। একজন মোঃ সিদ্দিকুর রহমানর অপরজন মোঃ ফজলুর রহমান। তারা তৎকালীন সময় সামরিক বাহিনীর একজন যোদ্ধা হিসেবে ভারত- বাংলাদেশের হয়ে মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। দেশ স্বাধীনের পর রাস্তাটি ব্যবহারে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পাইনি। তারা রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে দাবি জানিয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত আবদুল মান্নানের ছেলে কুয়েত প্রবাসী শাহজাহান মুঠোফোন জানান, এই এলাকার বাসিন্দা ছোট মনু ও তার ভাই আলমগীরের কাছ থেকে প্রবাসের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে ছয় শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। তারা দেশে না থাকায় স্থানীয়রা জোরপূর্বক রাস্তার নামে দখল করার পায়তারা করে আসছে। এমন ঘটনার সুবিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান,এই বাড়িতে অনেক বড় একটি মসজিদ রয়েছে। যেখান প্রায় হাজারো মুসল্লীর উপস্থিতি ঘটে। এ রাস্তাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমরা কয়েকবার প্রস্তাব শান্তির লক্ষে উভয়ের সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নিরসন করার জন্য। বিষয়টি নিরসন হলে সবার উপকার হবে। এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণের করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।