চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কিছুদিনের ব্যবধানে একই এলাকায় আবারও পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকার একাধিক মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েও ডাকাতদের ধরা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী সহিদ উল্যার শ্যালক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ভাগিনারা তিনজন প্রবাসে থাকে। তাই আমি বোনের বাড়িতে থাকি। গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে কয়েকজন এসে বলে, নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলে দিলে বলে, “আমরা পুলিশ, কোনো কথা বলবি না।” এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে মুখ-হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা সবকিছু নিয়ে গেছে।’
সহিদ উল্যার স্ত্রী মাজেদা বেগম লিলু বলেন, ‘রাতে আইনের লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতেরা। পরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আলমিরার চাবি নিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণের গয়না, নগদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।’
মাজেদা বেগম লিলু আরও বলেন, ‘ডাকাতেরা চলে গেলে আমার ভাই হামাগুড়ি দিয়ে আমার কাছে আসলে একে অপরের বাঁধ খুলে বাইরে গিয়ে ডাক চিৎকার দেই। এ সময় ডাকাতদের ধরতে আমাদের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা আসলে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে থানা থেকে পুলিশ আসে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. হাসান বলেন, ‘বাড়িতে থাকা লোকজনকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। এলাকার কয়েকটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা করেও ডাকাতদের ধরা যায়নি। শুনেছি, তারা নাকি এসে পুলিশের পরিচয় দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একই উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর এক সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায়ও এখন পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার বা কাউকে আটক করা হয়নি।