চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সোহাগের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত অবস্থায় সোহাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে সোহাগের নিজের গার্মেন্টসে এই পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে মাহবুবুল আলম সোহাগকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দেখতে ঢাকার নিকুঞ্জ নিজ বাসভবন থেকে ছুটে আসেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দানবীর সমাজসেবক সিআইপি জালাল আহমেদ , এ সময় তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য কথা বলেন ও শারীরিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এছাড়াও সন্ত্রাসীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন, ও পরিবারকে সান্ত্বনা দেন । এ সময় উপস্থিত ছিলো, সিআইপি জালাল আহমেদে, সহধর্মিনী, নারী নেত্রী ও সম্ভাব্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, মাইমুনা জালাল ইকরা , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ২ নং পূর্ব বালিথুবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান তালুকদার, যুবলীগ নেতা বাদন পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা আজিজ খান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সোহেল দেওয়ান, হাফেজ আহমেদ, মাহবুব পাটোয়ার, যুবলীগ নেতা মাসুম পাটোয়ার, যুবলীগ নেতা সবুজ, বিজয়, ইউপি সদস্য সৈকত মোল্লা,সহ আরো দলীয় নেতাকর্মীরা।
এসময় ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা মাহবুবুল আলম সোহাগ বলেন, সামনের উপজেলা নির্বাচনের জন্য আমি নাকি একজনের থেকে ৫ লাখ টাকা এনেছি। সেই টাকা এখনি বের করে দিতে। এরপর আমাকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ফরিদগঞ্জের এক সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সঙ্ঘবদ্ধভাবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই চাঁদার টাকা না পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে হামলা চালিয়ে জখম করে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আসিবুল হাসান বলেন, সোহাগ নামের ওই রোগীকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য দ্রুত ওয়ান স্পট ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি নিয়েছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এখনো এ ধরনের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।