আজ ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
মতলব উত্তর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী চৌধুরী।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন জেলা নির্বাচন অফিসার। আর সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ছেংগারচর পৌরসভার ৯৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৪৩জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৯০ জন ও হিজরা ভোটার ১ জন। নির্বাচনে ৯৯জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬৬১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সহ পুলিং অফিসার ভোট গ্ৰহন করবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৬ প্লাটুন বিজিবি, ৪২ র্যাব সদস্য, স্টাইকিং ফোর্স ৩, পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন।
নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ছয়জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রট ও উপজেলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
ভোটের দিন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ করতে হয়। সে অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতে উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কারও কোনো গাফিলতি থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন।
জাতীয় নির্বাচনে একসঙ্গে সব কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, এখন সব কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট হচ্ছে না। কয়েকটি পর্বে ভোট হবে। ফলে নিরাপত্তা তিন-চার গুণ বেশি থাকবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।