উঠে গেছে রাস্তার পিচ ঢালাই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পাথর। এ যেন সড়ক
নয় মরণফাঁদ, চাঁদপুরের কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর বাইপাস সড়কের বিভিন্ন
স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে জমে আছে পানি। কয়েক মাস ধরে চরম দুভোর্গ শিকার
হচ্ছেন যানবাহন ও যাত্রীরা। বিশেষ করে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এমন আরো
বেশি নাজুক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে কচুয়া-সাচার সড়কের বাঁছাইয়া থেকে
সাজিরপাড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক। এতে চরম ভোগান্তিতে
পড়েছে গণপরিবহণ ও যাত্রীরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নোয়াখালী, লক্ষীপুর,
চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের যানবাহন গুলো যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘদিন যাবত
সংস্কারহীন থাকায় প্রায় ৭ কিলোমিটার জুড়ে সড়কটি ছোট-বড় খানাখন্দের
সৃষ্টি হয়েছে। সেই ক্ষত আরও বৃদ্ধি পেয়েছে টানা বৃষ্টিতে। সড়কের বেহাল দশার
কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই যাত্রীদের এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে গণ-পরিবহন গুলোকে চলতে হচ্ছে এঁকেবেঁকে হেলেদুলে।
যা চালকদের জন্যে অস্বস্তিকর। রোগী নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ
সড়ক। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। এতো
গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন পর্যন্ত সংস্কার না করায় টানা বৃষ্টিতে পুরো সড়কটি
আরো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অতিদ্রæত সড়কটির সংস্কার দাবি করেছেন তারা।
সিএনজি চালক মো. ফরহাদ ও জিসান আহম্মেদ ও অটোরিক্সা চলক ইসমাইল ও
শাহপারান জানান, সড়কের দুরাবস্থার কারনে বড় বড় যানবাহনগুলো কোনোভাবে চলাচল
করতে পারলেও তাদের সিএনজি ও অটোরিক্সা নিয়ে এই সড়কে চলাচল করা অসাধ্য
ব্যাপার। অধিকাংশ সময় অটোরিক্সা হেলে যায়। এতে অনেক যাত্রী পড়ে আহত হচ্ছেন।
ট্রাক ড্রাইবার আব্দুল্লাহ্ধসঢ়; আল মামুন ও বাস ড্রাইবার মোঃ সেলিম ও
মানিক মিয়া বলেন, সড়কটির অধিকাংশ স্থানেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড়
গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই যাত্রী ও মালামাল নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা
অনেকটাই অসম্ভব হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের হাজীগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো.
মহিউদ্দিন জানান, বৃষ্টির কারনে রাস্তা সংস্কার করতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এ
রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডারের কাজ সম্পন্ন
করা হয়েছে। অচিরেই ওই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।