পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় শতবর্ষী বৃদ্ধা তৈবুন্নেসা (১০০) কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার পুত্রবধূ মিনু বেগমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোরে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়ানের দক্ষিণ সন্না গ্রামের মন গাজী বাড়িতে। মৃত সোনা মিয়া গাজীর স্ত্রী তৈবুন্নেসা জানান, তার ছেলে আনোয়ারের স্ত্রী মিনু পরকীয়ায় জড়িত, এবং বিষয়টি নিয়ে কথা বললেই তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়।
তৈবুন্নেসা বলেন, “সকালে মিনুকে বলেছিলাম, তুই যেভাবে পরকীয়া করছিস, এটা কি ঠিক কাজ? আমার ছেলে মাত্র এক বছর হলো বিদেশে গেছে। এই ক’দিনেই তুই তিন-চারবার ছেলেদের নিয়ে ধরা পড়ছিস। এতে আমাদের মান-সম্মান সব শেষ! কথা বলার সাথে সাথেই সে আমাকে চড়থাপ্পড় মেরে মাটিতে ফেলে দিল। এই বয়সে এভাবে নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই দিন আগেও মিনুকে একই বাড়ির মৃত আবদুল রবের ছেলে মোতালেবকে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয়রা। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে বলেন। এ ধরনের ঘটনা আগেও কয়েকবার ঘটেছে এবং প্রতিবেশীরা তার বিরোধিতা করলেই মিনু তাদের হুমকি দেয়। এবার শাশুড়িকে মারধরের ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীরা মিনুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা মিনুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চাই। এমন অনৈতিক কাজের সমাজে কোনো স্থান নেই। বারবার একই অপরাধ করলে শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে আরও বিপদ হতে পারে।”
মিনুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনা্তভোগীরা আমার কাছে আসলে আমি সুষ্ঠু বিচার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করব। সমাজে এমন ঘটনা নিন্দনীয়।”
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।”