চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মোঃ ইলিয়াস নামে এক ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শিবপুর এলাকায় রবিবার (১০ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরও অদ্যাবধি কোন সুরাহা পায়নি বলে অভিযোগ ইউপি সদস্যের।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের শিবপুর বেপারী বাড়ির মৃত আমিন উল্যাহ বেপারীর পুত্র ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মোঃ ইলিয়াছ ১০ নভেম্বর রবিবার রাত অনুমান সাড়ে ৯ টায় ওয়াডস্থ এক মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা মোবাইলে না আসায় তার মোবাইল দেখার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে ইলিয়াস শিবপুর গ্রামের বিরানী বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে একই এলাকার মৃত আঃ রাজ্জাকের পুত্র সুজন (২৫), দুলাল হোসেনের পুত্র রায়হান (২৪), মোশারফ হোসেনের পুত্র ইয়াছিন (৩০), মনু মিয়ার পুত্র পারভেজ (২২) সহ অজ্ঞানামা ৫/৬ জন লোক পিছন থেকে তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ওয়ারুক মাঠে নিয়া এতোপাতাড়ি মারধন করে এবং ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। ইউপি সদস্য ইলিয়াস তাদের মারধর থেকে বাঁচতে নিজস্ব মুঠোফোন থেকে বেশ কয়েকজন স্বজনের কাছে টাকা চাইলেও রাত বেশি হওয়ায় কেউ টাকা দিতে ও ঘটনাস্থলে আসতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে হামলাকারীরা টাকা না পেয়ে একাধিক স্থান পরিবর্তন করে রাত ১টার সময় শিবপুর মকতিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে মারধর করাকালীন তার ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী বাড়ির সেলিম ও তার স্ত্রী টর্চ লাইট জ্বালালে হামলাকারীরা তাদের গালমন্দ করতে থাকে। ওই সময় ইউপি সদস্য জীবন রক্ষার্থে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইলিয়াস বাদী হয়ে পরদিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার শিকার ইউপি সদস্য ইলিয়াস জানান, আমি দুই বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। স্থানীয়ভাবে আমার একটা গ্রহনযোগ্যতা আছে। রাত ৯টায় আমার ওয়ার্ডের এক বয়ষ্ক ভাতাভোগি মহিলা তার ভাতার টাকা মোবাইলে আসে নাই বলে জানায়। আমি তার মোবাইল দেখার জন্য সেখানে যাওয়ার পথে বিবাদীরা আমাকে অতর্কিত হামলা করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে মুখ বেঁধে পাশ্ববর্তি ওয়ারুক মাঠে নিয়ে বেদম মারধর করে ও টাকা দাবি করে। আমি আমার সম্ভাব্য কিছু স্বজনদের কাছে ফোনে তাদের মারধর থেকে বাঁচতে টাকা চাইলে তারা না দিতে পারায় আমাকে আবারো মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকী ধমকী প্রদর্শণ করে। রাত ১টার পর তারা শিবপুর মকতিয়ার বাড়ির পাশে নিয়ে মারধর করাকালীন পাশ্ববর্তী লোকজন টর্চ লাইট জ্বালালে তাদের কবল থেকে দৌড়ে জীবন রক্ষা করি। ওই সময় তারা আমার কাছে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা, ১টি স্যামস্যাং মোবাইল ফোন ও একটি লাইট নিয়ে যায়। আমি ঘটনার পরদিন থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অদ্যাবধি থানা পুলিশ আমার এ ঘটনার কোন সুরাহা করেনি। এছাড়া স্থানীয় অনেক লোকজন আমার বিষয়টি সমাধান করবে বলেও ঘুরাচ্ছে। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও যদি ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হই তাহলে সমাজের সাধারণ মানুষ কিভাবে বিচার প্রার্থী হবে। আমি আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।