কচুয়ায় হামলার ৬ দিন পর ব্যবসায়ীর মৃত্যু ॥ হামলাকারী আটক
চাঁদপুরের কচুয়ার পাথৈর গ্রামে পাওয়া টাকা না দেয়ার ঘটনায় কাচাঁমাল ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারধরের ৬ দিন পর মো. আতাউল্লাহ (২৪) নামের এক যুবক মারা গেছে। বুধবার ভোরে ওই যুবক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
নিহত আতাউল্লাহ উপজেলার মালিগাঁও গ্রামের মো: শাহজালালের ছেলে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে আতাউল্লাহকে বড়দৈল মোড় থেকে পাথৈর গ্রামের ইয়াছিন ও মফিজের নেতৃত্বে ৫/৬ জন উশৃঙ্খল যুবক তাকে আটক করে পাথৈর গ্রামে পাওনাদার ইকবাল হোসেনের বাড়ীতে নিয়ে আসে। এসময় একই গ্রামের সজিব, সিয়াম, মাসুম ও আজহারুলসহ বেশ কয়েকজন আতাউল্লাহ খালি বোতলে পানি ডুকিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে গুরুতর আহত করে তার বাবা-মাকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। পরে তাকে দাউদকান্দির মালিগাঁও সরকারী মেডিকেলে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৫ টার দিকে তিনি মারা যায়। এদিকে নিরীহ যুবক আতাউল্লাহকে পাওনাদার কর্তৃক মারধরের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে হামলাকারীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
খরব কচুয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ মালিগাঁও গ্রাম থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করে। এছাড়া হামলাকারী ইকবাল হোসেনকে আটক করে কচুয়া থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি এম. আব্দুল হালিম জানান, ভিকটিমের বাবা থানায় একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। এজাহারের ভিত্তিতে হামলাকারী-পাওনাদার উপজেলার পাথৈর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে ইকবাল কে আটক করা হয়েছে।