তিনি শুধু একজন মানবাধিকারকর্মী নন- সমাজ সংস্কারক ও বিশ্লেষক। যারা তাঁকে শুধু ফেসবুক থেকে চেনেন তারা ব্যক্তি সেহলী পারভীন কে জানেন না, মানুষ সেহলী পারভীন কে চেনেন না। তিনি সকল মানুষের সুখ দুঃখ এবং সমাজ ও সংস্কৃতিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুভব করেন। মানুষ ও জীবজগতকে মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে বিবেচনায় রেখে বিশ্লেষণ করেন। নিজের সর্বস্ব উজাড় হলেও ভাষা দিয়ে আঘাত করে প্রতিবাদ করেন না- ত্যাগের মহিমায় জবাব দেন। এই মহিমাটুকুই তাঁকে আমাদেরসহ তৃণমূল মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি যখন সিনিয়র সাংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন এবং সাংবাদিক প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন, কথা বলেন তখন ক্রাইম নিউজের দিকে নজর দেননি কখনো। তিনি অপরাধের কারন এবং কোন কোন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে অপরাধ কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট করেছেন। যে কারণে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাননি। এবিষয়েও তাঁর তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি জানেন জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়টুকু কীভাবে অতিক্রম করতে হবে। তাঁর কাজ, তাঁর কথা, তাঁর পথ কখনো রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে উঠানামা করেনি কিংবা কোনো স্রোতের শক্তিতে বেশিও ভাসেননি। নিবু নিবু প্রদীপ হাতে তিনি পথ চলেন। আমাদের চোখে, আমাদের মনে তার ব্যবহারিক জীবন একটি পরিপূর্ণ সমাজ বিজ্ঞান।