নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের উপস্থিতিতে নব-নির্মিত বসতঘরে ভাংচুর চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
ঘটনাটি গত ১৩ আগস্ট শনিবার উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া শেখ বাড়ীতে ঘটে।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, ঘনিয়া শেখ বাড়ীর রুহুল আমিনের মেজো ছেলে পল্লীচিকিৎসক কামাল হোসেন তাদের পৈত্রিক চার শতাংশ ভূমির উপর নতুন ঘর গড়ে তোলেন। কাজের শেষ পর্যায়ে এসে একই বাড়ীর মৃত এরশাদ হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন রিপন শেখ ক্ষমতার উপব্যবহার শুরু করেন। মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে গত শনিবার ফরিদগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ এনে তাদের উপস্থিতিতে জসিম উদ্দিন রিপন শেখ, তার ভাই কাঞ্চন শেখ, মহসিন ও সেলিম শেখসহ আরো কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র ও লাটি সোটা নিয়ে পল্লীচিকিৎসক কামাল শেখের নতুন বসতঘরে ভাংচুর ও হামলা চালায়। তাদের হামলায় পল্লীচিকিৎসক কামাল হোসেন (৩৯), তার বৃদ্ধ বাবা শেখ রুহুল আমিন (৮৮), মা শিরিন বেগম(৬৫), শ্রমিক মোবারক ও মামুন গুরুতর ভাবে যখমপ্রাপ্ত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে ও স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এমন নেক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে শেখ বাড়ীর মানিক শেখ, আ. সামাদ, শাহিন আক্তার শিল্পি ও লিজা বলেন, রিপন শেখ বাড়ীর মানুষকে ছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন মানুষের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তার অত্যাচারে সাধারন মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। কিছু থেকে কিছু হলে পুলিশিং ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাসিল করাই তার মূল উদ্দেশ্যে। তার মিথ্যা অভিযোগে এখনো থানা ও আদালতে প্রায় ১৫/১৬ টি মামলা চলমান রয়েছে।
প্রতিপক্ষের হামলার স্বীকার পল্লীচিকিৎসক কামাল হোসেন, তার বৃদ্ধ বাবা শেখ রুহুল আমিন ও মা শিরিন বেগম বলেন, আমরা আওয়ামী পরিবারের সমর্থক হয়েও পুলিশের সামনে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হলাম। আমাদের ৫০ বছরের ভোগকৃত সম্পত্তির উপর বসতঘর করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা ও ভাংচুর চালায়। আমরা চাঁদপুরের পুলিশ সুপার, ফরিদগঞ্জের সাংসদ শফিকুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ রিপন শেখ বলেন, প্রশাসন আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে, আমরা কিছু করিনি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে ফরিদগঞ্জ থানায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানাযায়।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদ হোসেন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেই অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের সামনে যদি কোন ঘটনা ঘটে তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো। উভয়পক্ষ যেন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে তার আহবান থাকলো।