গতকাল বুধবার দুপুরে বিজ্ঞান বিষয়ক এ রকম ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজের মিলনায়তনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেজন্য আমরা স্কুল পর্যায়ে এসব মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এ সকল মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তাদের মাঝে প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে।
সাংবাদিক ও শিক্ষক জাহিদ হাসানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
শিক্ষার্থীদের দেয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ বলেন, ‘বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি শিক্ষার বিবেচনায় আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বিভিন্ন কারণে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষায় ছাত্ররা আগ্রহ হারাচ্ছে। ফলে বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। তাই সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে এখন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে পারলে, তারা একদিন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসবে।’ এসব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নানান উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলি জাকির হোসেন, হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছাইদ, সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন টিটু প্রমূখ।
মেলায় বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। হাজীগঞ্জ উপজেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাবের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণ উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বুধবার দুপর পর্যন্ত চলে এ মেলা।
মেলায় ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও উদ্ভাবকরা অংশ নিয়েছেন। যেখানে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবিত সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে। স্কুলের একটি ভবনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা স্টল সাজিয়ে বসেছে।
মেলায় ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি প্রযুক্তি পণ্য প্রদর্শনী করেন। অংশগ্রহণকারীদের জুনিয়র ও সিনিয়র গ্রুপের মাঝে প্রকল্প ও বক্তৃতার ওপর পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জুনিয়র প্রকল্পে চারজন, বক্তৃতায় চারজন, সিনিয়র প্রকল্পে তিনজন, বক্তৃতায় দুজন ও বিশেষ গ্রুপে একজনসহ মোট ১৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।