হাজীগঞ্জ ব্যুরো ||
হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বসতঘরে হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ইউনিয়নের সন্না গ্রামের বসা গাজী মিয়াজী বাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য পেয়ারা বেগমের বসতঘরে হামলা ও পরিবারের সদস্যদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
হামলায় পেয়ারা বেগমের (৫৫) বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত এবং তিনি ও তার ছেলে তানভীর হোসেন (২৫) আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অভিযুক্ত হামলাকারী হলেন, একই বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে রাফি হোসেন রাব্বী (২৭) ও তার পরিবারের অন্যান্য লোকজন।
এ বিষয়ে পেয়ারা বেগম জানান, তাদেরকে না জানিয়ে অভিযুক্ত রাব্বী ও তাদের পরিবারের লোকজন ওয়াই-ফাই নেটের পাসওয়ার্ড চুরি করে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বার বার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেও কোনো লাভ হয়নি। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার রাব্বীকে বলা হলেও সে কর্ণপাত করেনি।
তিনি বলেন, সবশেষ আবারো পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু এবারো রাব্বী পাসওয়ার্ড চুরি করে নেট ব্যবহার করলে গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আমাদের ওয়াই-পাই ব্যবহার না করতে নিষেধ করা হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন দুপুরে আমাকে মারধর এবং তার পরিবারের লোকজন গালমন্দ শুরু করে।
বিষয়টি জানতে পেরে এ দিন বিকালে আমার ছেলে তানভীরের সাথে রাব্বীর তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় রাব্বী রামদা এবং তাদের পরিবারের লোকজন লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে আমাদের বসতঘরে হামলা এবং আমাদেরকে মারধর করতে আসে। পরে বাড়ির লোকজনের হস্তক্ষেপে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। তাদের হামলা ও মারধরে আমি এবং আমার ছেলে আহত হই।
পেয়ারা বেগম আরো বলেন, বিষয়টি ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় সালিশদার ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বললে আমরা সমাধানের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু হামলাকারীরা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সালিশদারদের উপেক্ষা করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়াও তারা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য শুধু শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ দিকে অভিযুক্ত রাফি হোসেন রাব্বী ওয়াই-ফাই ব্যবহারের বিষয়টা স্বীকার করে বলেন, মূলত তাদের সাথে সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। নেট ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ওইদিন তানভীর ও তাদের পরিবারের লোকজন আমাদের বসতঘরে হামলা করে টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। এতে আমরা বাধা দেই। এ সময় তাদের হামলায় আমি ও আমার মা আহত হই। বর্তমানে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরাও স্থানীয়ভাবে মিমাংসার পক্ষে, কিন্তু তাদের হুমকি-ধমকির কারনে এবং আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সালিশদার মোতালেব ফরাজী ও মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ওই দিন বাড়িতে এসে দুপক্ষকে নির্বিত করে পরিস্থিতি শান্ত করি।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সুজন চন্দ্র দাশ সংবাদকর্মীদের জানান, তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।