শীত মন মজাতে পারেনি ডিসেম্বরে । তবে ইংরেজি বছরের শুরুতেই কিছুটা জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়া শুরু হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মেলেনি দুপুর পর্যন্ত ফরিদগঞ্জে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে কনকনে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন ।
জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস । ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ মাসে শৈত্য প্রবাহের প্রভাব আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের । জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাবে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও তাপমাত্রা ও উষ্ণতার নতুন রেকর্ড গড়েছে ।
হিমেল বাতাশ আর তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের জনজীবন। ভোর বেলা থেকে ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডার সাথে শুরু হয়েছে মৃদু বাতাস ও শৈত্য প্রবাহ। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পথ-ঘাট। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষজন। তারা খড়কুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কনকনে ঠাণ্ডার কারণে খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে বের হতে পারছেন না।
সবচেয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে উপজেলার গ্রামগুলোর মানুষজন। গরম কাপড়ের অভাবে সেখানকার দরিদ্র মানুনজন নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে । শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সিরা।