হাজীগঞ্জ উপজেলার ২ নং বাকিলা ইউনিয়নের সর্ন্না গ্রাম কানির বাড়ি থেকে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন পাকা সড়ক নির্মাণ কাজে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইটের খোয়ার পরিবর্তে পুরোনো ভবনের ভাঙা সিমেন্টের পলেস্তারা ব্যবহার করছে। এর ফলে রাস্তা তৈরীর অল্প কিছুদিন পরই আবার নষ্ট হয়ে যাবে।
শুক্রবার ঢালাইয়ের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে কাজে বাধা দেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে বিষয়টি জানান। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিম্নমানের উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা পুরোনো ভবনের ভাঙা সিমেন্টের পলেস্তারা ট্রাকে তুলে সরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের অনিয়ম শুধু রাস্তার মানই কমায় না, ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, _”আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই রাস্তা নির্মাণে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদাররা যদি এভাবে অনিয়ম করে, তাহলে সরকারের অর্থের সঠিক ব্যবহার হবে না। আমরা চাই, এই প্রকল্পে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হোক এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
ঠিকাদারি পরিচয়দানকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমাদের ইটের খোয়া কম পড়ে গিয়েছিল, তাই ইঞ্জিনিয়ারের অনুমতি নিয়ে আমরা পুরোনো ভবনের ভাঙা পলেস্তারা ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। এখন ইঞ্জিনিয়ার নিষেধ করেছেন, তাই সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছি।”
তবে স্থানীয়রা এই অজুহাত মানতে নারাজ। তাদের মতে, ঠিকাদাররা ইচ্ছাকৃতভাবে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটতে চাইছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জাহেদ হোসেন বলেন, _”আমি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলছি নিম্নমানের এসব উপকরণগুলো সরিয়ে নিতে।