মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ বাজারে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) আনুমানিক ভোর ৪ টায় ভয়াবহ
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫টি দোকান ভস্মিভূত হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মতলব উত্তর
ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা
চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের
সূত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো নুরুল ইসলাম গাজীর মুদি দোকান, সাইদুল ইসলামের জাল ও সুতার
দোকান, নবী গাজীর বেকারীর দোকান, ছিডু বকাউলের লাকড়ীর দোকান, শুকুর সওদাগরের
ক্রোকারিজের দোকান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের নৈশপ্রহরীরা ভোর ৪টার দিকে বেকারীতে আগুন দেখতে পেয়ে ডাক
চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার
সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে আগুন পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার সকালে
সরেজমিনে জানা গেছে, দোকানগুলো ও ভেতরে পড়ে থাকা সকল মালামাল ছাই হয়ে আছে।
দোকানে থাকা কোন মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মুদি দোকানদার সৈকত বলেন, আমার দোকানে প্রায় ৪০-৪৫ লক্ষ টাকার মুদি আইটেমের মালামাল ও
নগদ ২-৩ লাখ টাকা ছিল। কিভাবে আগুন লেগেছে বুজতে পারছি না। পাশের দোকানদার নবী
গাজী জানান, তার বেকারী পুড়ে প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাইদুলের দোকানেও
প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার মালামাল ছিল।
খবর পেয়ে অগ্নিকাণ্ড স্থান পরিদর্শন করেন ইউএনও আশরাফুল হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন
অফিসার (পিআইও) মো. আওরঙ্গজেব, ফরাজীঅকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. রেজাউল করিম,
আওয়ামীলীগ নেতা জমশেদ বেপারী।
মতলব উত্তর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর মো. জাকির হোসেন বলেন,
আগুনের খবর পাওয়া মাত্রই দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত
হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় প্রশাসনের
কাছে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।