চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ভালোবেসে স্বামীর দেওয়া প্রায় দুইশো শতাংশ হেবা সম্পত্তি পেয়েছেন বৃদ্ধ এক নারী। সেই সম্পত্তিতে চোখ পড়েছে স্থানীয় প্রবাশালীদের। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা চান বৃদ্ধ নারীর পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৬ নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা উত্তর পাটোয়ারী মৃত মো. মোতাহার হোসেন মৃত্যুর পূর্বে ভালোবেসে স্ত্রী ঢাকা শহীদ সরোয়ারদী গভমেন্ট কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নিশাত আরা বেগমে (৮৪) কে ১৯৫ শতাংশ হেবা দলিল করে দেয়। এ দম্পতির সব মিলিয়ে প্রায় ২১৪ একর সম্পত্তি রক্ষাণাবেক্ষন করে আসছেন একই গ্রামের কৃষক মিরন শেখ।
জানাযায়, মাঝেমধ্যে এ সম্পত্তির সন্তান রুবাইয়াত হোসেন সম্পত্তির দাবি নিয়ে আসলে তাকে মাদকের মামলার ভয় দেখিয়ে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে আসছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিজেদের সম্পত্তির খোঁজ নিতে গিয়ে প্রাণনাশের আশংকা দেখা দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি কার্যালয় ও থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ সম্পত্তিতে চোখ পড়েছে বাড়ীর প্রতিপক্ষ মৃত মুকবুল মাষ্টার এর ছেলে আব্বাছ উদ্দিন পাটোয়ারী (আক্তার), আশ্রাফ উদ্দিন ও ফয়েজ গংদের। তাদের দাবি হেবা সম্পত্তির কোন মূল্য নাই, আমাদের চাচা জেটার সম্পত্তি এখানে ঐ নারীর কোন অধিকার নাই। এ বলে তারা সম্পত্তির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কৃষক মিরন শেখ ও তার ছেলেকে মারধর করে বিভিন্ন ফসল নষ্ট করে কেটে ফেলেছে।
কৃষক মিরন মিয়া বলেন, উপাধ্যক্ষ নিশাত আরা বেগমের পরিবার আমাকে তাদের সম্পত্তি চাষবাসের সুযোগ সুবিদা দিয়েছে। সেই সুবাদে যত গাছ পালা গড়ে উঠাই ঠিক ততবারই তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন এসে কেটে ছিড়ে নষ্ট করে ফেলে। এমনকি আমাকে দৌড়ে এসে মারধরের চেষ্টা করেছে। অথচ তাদের দয়া নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আজ ৩ বছর এখানে পড়ে আছি।
বৃদ্ধ নিশাত আরা বেগমের ছেলে রুবাইয়াত হোসেন বলেন, আমাদের এ সম্পত্তি রক্ষাণাবেক্ষন করছেন একই গ্রামের কৃষক মিরন শেখ। তার পরিবারের উপরেও হামলা চালায় তারা। ইতিপূর্বে আমার বিভিন্ন গাছ নষ্ট করে আসছে এবং পুকুরে নামতে দেয় না। স্থানীয় এলাকার চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান মাও আবু জাফর সিদ্দিকী বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার বসে সমাধান করার চেষ্টা করেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি নেই সাথে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিপক্ষের কথা হচ্ছে মহিলা মানুষের নামে কোন হেবা দলিল টিকবে না। আমরা ভাইওলাত সম্পত্তি দাবি করে এখানে অংশ দাবি করছি। তাদের এহেন কর্মকান্ড ও কথাবার্তা মূল্যহীন।
এ বিষয়ে বড়কূল পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাও. আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, আমার সময়ে বিষয়টি একাধিকবার বসে ঢাকা শহীদ সরোয়ারদী গর্ভমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাধ্যক্ষ নিশাত আরা বেগমের পরিবার ও আব্বাস উদ্দিন পাটোয়ারী (আক্তার) গংদের মধ্যে মাপজোক করে মিমাংসা করেছি। কিন্তু এর পরেও তারা ঝামেলা করে আসছে যা ঠিক হচ্ছে না।