মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
হাজীগঞ্জ বাজারস্থ কাতার-কানাডা (কিউসি) টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তবে তাৎখনিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলে বহুতল এ ভবনের লোকজন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টাওয়ারের তিন তলায় কাগজের কার্টনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কিউসি টাওয়ারের তিন তলার পূর্ব পাশের ফ্যাটে লিফটের দরজার সামনে রাখা কাগজের খালি কার্টনের স্তুফে অজ্ঞাত কারণে আগুন ধরে যায়। এতে ভবনের উপরের ফ্যাটের দিকে ধোয়া আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎখনিক ফায়ার সার্ভিমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে।
আবার ফায়ার সার্ভিসের কিছু কর্মী ধোয়ায় আটকে পড়া এবং আতঙ্কিত মানুষকে উদ্ধার করে, যারা উপরে ছিলেন তাদেরকে ভবনের ছাদে তুলেন এবং চারতলা ও তিনতলায় যারা আটকে ছিলেন, তাদেরকে মই দিয়ে ভবনের নিচে নামিয়ে আনেন। এর মধ্যে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় আধাঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ দিকে আগুনের ধোয়ায় এবং আতঙ্কিত হয়ে ভবনের নিচে নামতে এবং ছাদে উঠতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এর মধ্যে কাউকে গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশংসা করেন, ভবনের লোকজন এবং উদ্ধার কাজে সহযোগিতাকারী ও পথচারীরা।
আগুনে লাগার বিষয়ে ভবনের ফ্যাটে বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কেউ ফ্যাট কিনে (ক্রয়) নিজ পরিবার, আবার কেউ ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। অথচ নিচতলা থেকে উপরের বেশ কয়েকতলা পর্যন্ত লিফটের সামনে থাকা খালি জায়গায় ব্যবসায়ীদের কার্টনে কার্টনে মালামাল ও খালি কার্টনের স্তুফ রয়েছে। এতে ভবনের থাকা চলাচলে অসুবিধা এবং দূর্ঘটনার আশংকায় থাকতে হয় তাদের।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. রাশেদুল আলম বলেন, এখানে ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ) সর্ট-সার্কিটে আগুন লাগার সম্ভাবনা নেই। অসাবধনতাবশত, হয়তো কেউ ধুমপান করে অতিরিক্ত অংশ এখানে ফেলে দিয়েছে। এতে কাগজের কার্টনে আগুন ধরে যায়। পরে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
তিনি আরো বলেন, ১২ তলা ভবনের তিনতলায় আগুন ধরে। সবার দরজা জানালা বন্ধ থাকায় ধোয়া সিঁড়ির উপরের দিকে উঠে যায়। এতে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে ভবনের বেলকনিতে এসে বসে পড়েন। আবার রুমের ভিতরে থেকে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। আমরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসি।