হাজীগঞ্জে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ম্যানজিং কমিটির পক্ষ থেকে শ্রেণীকক্ষ ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে শিক্ষকদের বাঁধা। আর এ নিয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মাঝে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে। এদিন বিদ্যালয় পরিচালনা সভাপতির নিজস্ব অর্থায়নে ৫ টি সিসি ক্যামেরা স্কুলে স্থাপন করতে গেলে বিদ্যালের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাঁধা প্রদান করে। এতে সিসি ক্যামেরা না লাগিয়ে ফেরত যায় প্রতিস্থাপনকারাীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা তৈরি হয়।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দিক বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য গৃহীত সিদ্ধান্ত হয়। কিন্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষক -শিক্ষিকা রয়েছে। তাদের কেউ স্বামী-স্ত্রী,কেউ আবার ভাই-বোন সম্পর্কে। তারা সবাই গন্ধর্ব্যপুরের বাসিন্দা। ফলে তারা নিজেদের খেয়ালখুশিমতে স্কুলে আসেন আবার চলে যান। ঠিকমতো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন না। কেউ কেউ সকালে সাড় দশটা এমনকি এগারোটা বাজেও স্কুলে আসেন। এত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আর এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এই ছাড়াও, বিদ্যালয়ের কোন ধরনের কাজে ম্যানেজিং কমিটির সাথে পরামর্শ করা হয়নি। এমনি কখনো সরকারি নগদ অর্থের হিসাবও দেওয়া হয়নি ম্যানজিং কমিটিকে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিয়ন্ত্রণে চলছে সব কিছু।
বিদ্যালয় কেন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার এর কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি বলেন
এই বিষয়ে স্কুলের বিদ্যুৎসাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে কমিটিরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগাবো। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ যখন সিসি ক্যামরা লাগাতে আসে টেকনিশিয়ানরা। তখন স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা বাঁধা দেয়। তারা বলে এটা কিসের কমিটি আমরা কমিটি মানি না। আসলে তারা যদি কমিটির সাথে এরকম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সাথে কেমন ব্যবহার করে আল্লাহই ভাল জানে।
এই বিষয়ে জানতে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাইদ চৌধুরীর মুঠোফোনে বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। তবে শিক্ষকরা বাধা প্রদান করে নাই তারা বলছে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবে। এটা বড় কোন বিষয় না। কাল সমাধান হয়েছে যাবে।
এই বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল জানান, আমি আজকেই ( শনিবার) জানতে পেরেছি। শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি সমাধানের জন্য। উনি আগামীকাল ঐ প্রতিষ্ঠানে যাবেন।