হাজীগঞ্জে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসলেও গভীর রাতে মেলেনি ডাক্তারের দেখা। প্রসূতি নারীকে হাসপাতালে ভর্তি দেখিয়ে নরমাল ডেলিভারি করিয়েছেন হাপাতালের নার্স মিনু আক্তার। প্রসূতি নারী সুস্থ থাকলেও তার নবজাতক সন্তানকে জীবিত দেখতে পাননি হতভাগা মা। রাত গড়িয়ে দিনের ১০টায় পর্যন্ত ডাক্তারের দেখা পাননি রোগীর স্বজনরা। পরে ডাক্তার চেম্বারে এসে রোগীর স্বজনদের শান্তৃনা দিয়ে মৃত নবজাতকসহ প্রসূতি নারীকে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।
এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি গতকাল শনিবার ১৩ জুলাই হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ নিশাত হাসপাতালে ঘটেছে।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে দেশগাঁও গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠে। বাচ্চা প্রসব না হওয়া রাত সাড়ে ৩ টায় প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রীকে নিয়ে তার চাচা মিজানুর রহমানসহ প্রসূতি নারীর স্বজনরা নিশাত হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে এসে গাইনী ডাক্তারের দেখা পাননি তারা। হাসপাতালের নার্স মিনু আক্তার প্রসূতি নারীর নরমাল ডেলিভারি করান। ওই নারীর বাচ্চা প্রসব হওয়ার পরও হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার ইফফাত আরা দেখতে আসেনি। নবজাতক শিশু অসুস্থ থাকলেও দেখা মিলেনি হাসপাতালটির ডিউটি ডাক্তারের। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবার থেকে ডিউটি ডাক্তারের ফি নিয়েছেন। রাত গড়িয়ে সকাল ১০ টায় পর্যন্ত গাইনী ডাক্তারের দেখা পাননি রোগীর স্বজনরা। পরে সকাল ১১টায় গাইনী ডাক্তার ইফফাত আরা এবং তার মাহবুব আলম চেম্বারের এসে প্রসূতি নারীর স্বজনদের শান্তৃনা দিয়ে রোগী এবং মৃত নবজাতককে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক গোপীনাথ অধিকারী হাসপাতালে গিয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলেন। রোগীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ দেননি। দুপুরের পর নবজাতক বাচ্চাটিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রোগীর স্বজন মিজানুর রহমান বলেন, কনসেভ হওয়ার পর থেকেই গাইনী ডাক্তার ইফফাত আরাকে দেখিয়েছে। কিন্ত আজ এই দুঃসময়ে ডা. ইফফাত আরাকে পেলাম না। একটি বার এক নজরও দেখলেন না। পরে বেলায় ১১ টায় ইফফাত আরার স্বামী মাহবুব আলম শান্তনা দিয়ে রোগীকে রিলিজ করে দেন।
নার্স মিনু আক্তার বলেন, আমি ম্যাডামের ফোন কল সাজেস্টে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি। বাচ্চা প্রসব হওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট পর মারা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম বলেন, আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।