চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে
ভিবিন্ন অনিয়ম অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়ে ছিলেন
মেম্বার গন। সেই বিষয়ে আদালতের শিদ্ধান্ত মতে ১৯ জুলাই
বুধবার বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির
উপস্থিতিতে সভা আহŸায়ন করা হয়। সভায় সভাপত্বি করেন
উপস্থিতিদের শিদ্ধান্ত মতে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম
বাচ্চু। সভাটি পরিচালনা করেন ইউপি সচিব আমির
হোসেন। সভায় ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট উভয় পক্ষ কে সমঝোতার
প্রস্তাব করা হয়। এত কোন পক্ষ রাজি না হওয়া হ্যাঁ এবং না
ভোটের শিদ্ধান্ত গ্রহন হয়। এসময় মেম্বার গন গোপন
ব্যালটের মধ্যে দিয়ে তাদের শিদ্ধান্ত যানিয়ে দেন। ভোটে
চেয়ারম্যান অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন ৭ জন আর অনাস্থার বিপক্ষে
৫ জন ভোট প্রদান করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৯
ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাবটির
পক্ষে কম পক্ষে ৯ জন কর্তৃক ভোট গৃহীত হতে হবে। তা না
হলে প্রস্তাবটি বাতিল বলে গন হবে। এই ভোটের শিদ্ধান্তের
পরে আগামী ৬ মাস পর্যন্ত চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে আর
কোন অভিযোগ করতে পারবে না কোন মেম্বার গন।
ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন বলেন,
আমার বিরোদ্ধে একটি চক্র কাজ করছে। যাতে আমি সঠিক
ভাবে পরিষদ পরিচালনা করতে না পারি। আমার পরিষদের কিছু
মেম্বারদের দিয়ে আমার বিরোদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে। আজ
ভোটের মাধ্যেমে আবারও জনতার রায় বহাল রইলো।
সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আজিজুন্নাহার বলেন, পরিষদের
মেম্বার গন চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে ভিবিন্ন অনিয়মের
অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত
করতে গিয়ে কিছু কাজের সত্যতা পাই। সেই আলোকে
আদালত নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী আজকের
এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেম্বারদের ভোটে মাধ্যেমে
তাদের শিদ্ধান্ত যানিয়ে দেন। এবং আগামী ৬ মাসের মধ্যে
মেম্বার গন চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে আর কোন অভিযোগ
দায়ের করিতে পারিবেনা।