চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭ নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাঁসারা গ্রামের বাসিন্দা ও সাহীবাজার আল মদিনা ইঞ্জিনিয়ারিং মেটালের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মোঃ সাদ্দাম হোসেন (দেনু)এর বাড়ির পুকুর থেকে প্রতিপক্ষগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মোঃ সাদ্দাম হোসেন দেনু জানান ,১৮ জুন (মঙ্গলবার) বোর ৫.৩০ ঘটিকায় আমাদের বাড়ির মোঃ আলী হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ মিজী, কাউসার মিজি ,নূরে আলম মিজি সহ ২০-২৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী সহ আমার চাষকৃত পুকুর থেকে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। আমি খবর পেয়ে পুকুরের পাড়ে গিয়ে দেখি সবার হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। আমি মাছ নিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে গালমন্দ করে এবং প্রাণনাসের হুমকি দেয়। আমি প্রাণের ভয়ে সেখান থেকে চলে আসি।
ছামাদ মিজি গংরা দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে। বিগত দুই বছর পূর্বে তারা আমার ৫ শতাংশ বাগানবাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে যাওয়ার পর তারাই বাদী হয়ে ১৪৫ ধারা ও ৩৪৯ / ২৩ ফৌজদারি মোকাদ্দমা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের মামলা খারিজ করে দেওয়ার পর থেকে তারা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর জুলুম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বি,এস সংশোধনী ৯৩/২৩ মামলা চলমান থাকার পরেও ছামাদ মিজি গংরা বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি ছামাদ মিজি গংদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে উর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষ যেন সুদৃষ্টি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাঁশারা গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, ছামাদ মিজি ও তার জামতা আলী হোসেন সহ বেশ কয়েকজন ঈদের পরের দিন সকালবেলা পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।