হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে এবার ২০ মার্চ শুক্রবার ইফতারের পূর্ব পর্যন্ত রমজানে আড়াই শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ইতিকাফে বসেছেন। তারা ১০ দিন মসজিদে অবস্থান নিয়ে রাত-দিন ইবাদতে মশগুল থাকরেন।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স এর তত্ত্বাবধানে সার্বিক যথাসাধ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ. এস্টেট এর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান ।
আহম্মদ আলী স্টেটের প্রধান খাদেম সাবেক মোতওয়াল্লী অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটোয়ারী বড় মসজিদের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় আড়াই শতাধিক ইতিকাপকারী মুসুল্লির সাথে দেখা করে খোঁজখবর নেন। এ সময় মোতয়াল্লী সমাজবিজ্ঞানী প্রিন্স শাকিল আহমেদসহ আহমাদ আলী পাটোয়ারী রহ.এস্টেটের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ২১ মার্চ রমজানের ৩য় সপ্তাহে জুমা শেষে খতিব হাফেজ মাও. মুফতি মো.আবদুর রউফ হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক মসজিদে ইতিকাফে অংশগ্রহণের জন্যে আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো-অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়।
কোনও পুরুষ মসজিদে এবং নারী নিজ ঘরে নামাজের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় মাহে রমজানের শেষ দশকে অর্থাৎ বিশ রমজান নিয়তসহ সূর্যাস্ত থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার আগ পর্যন্ত অবস্থান করাকে বুঝায়। রমজানের শেষ দশকের এ ইতিকাফকে ‘ সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া’ বলা হয়। স্ব স্ব মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তি ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। ’
আলেমদের মতে,উত্তম হলো নিজ এলাকার মসজিদে ইতেকাফ করা। তবে যদি নিজ এলাকার মসজিদে ইতেকাফে বসার মত লোক থাকেন এবং অন্য মসজিদে আমলের পরিবেশ বেশি থাকে তাহলে অন্য মসজিদেও ইতিকাফ করার অনুমতি আছে। ইতিকাফের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
ইমাম বায়হাকি বর্ণনা করেন, হুসাইন ইবনে আলী (রা.) সূত্রে বর্ণিত; রাসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি মাহে রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করবে,সে যেন দুটি হজ ও দুটি ওমরা করেছে।’ আরেক হাদিসে এসেছে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে মাহে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করে,তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা মেহমান হিসেবে গ্রহণ করেন।
তখন তারা যা দোয়া করে, আল্লাহ তায়ালা তা’ কবুল করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেন,‘ইতিকাফকারী ইতিকাফের কারণে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায় এবং সব নেকির সওয়াব অর্জন করে।
এছাড়াও প্রতিবছরই প্রায় অধ্যলক্ষাধিক মুসুল্লি আখেরী জুমায় অংশ গ্রহন করে আসছেন এ বড় মসজিদে। যার সুনাম গৌরব ধরে রাখতে এ বছরেও মসজিদ কমিটি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানাযায়।