আরকেনিউজ৭১ঃ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হাজীগঞ্জে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে । তবে মধ্য রাত থেকে মুশলধার বৃষ্টি শুধু হয়েছে । সেই সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে। বৈরি আবহাওয়া হাজীগঞ্জের জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। সকাল থেকে হাজীগঞ্জ শহরে মানুষের উপস্থিত একেবারে কম। অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে।
সরজমিনে হাজীগঞ্জ শহরে বিভিন্ন জাগায় ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির প্রভাব ছোটছোট জলবদ্ধতা তৈরি করছে। তবে শহরের তরকারি পট্টিতে জলবদ্ধতার বেশি সৃষ্টি হওয়ার কারনে বিপাকে পড়েছে সেখানকার ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এছাড়াও হাজীগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
এদিকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর, ওহাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুুত রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাব মোকাবেলায় চাঁদপুর নদী বন্দর এলাকায় জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমন্বয় করবে। অবস্থান বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। বৈরি আবহাওয়া পরিস্থিতিতে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে এবং সকাল থেকে চাঁদপুর ঢাকা, চাঁদপুর নারায়নগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়্যারলেস সুপারভাইজার মো: সোয়েব জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের চাঁদপুরে বৃষ্টি পাতের পরিমান ৩৫.৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। চাঁদপুর সহ ১৩ জেলাকে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।