চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা
পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (এসি মিজান) বলেন, মাদক, সন্ত্রাস,
চাঁদাবাজমুক্ত মতলব ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী
হয়েছি। দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে মতলবের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করবো।
শনিবার দুপুর ১২.১০ মিনিটে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘ডিবিসি ইলেকশন
এক্সপ্রেস’ সরাসরি অনুষ্ঠানে ছেংগারচর মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার সামনের মাঠ
থেকে ডিবিসি’র সিনিয়র রিপোর্টার হিমেল মাহবুব এর উপস্থাপনায় লাইভ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত
হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসি মিজান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সব দলের অংশগ্রহণে আগামী দিনের নির্বাচন হবে।
এই নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য। আমি মনে করি ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের কারিগরেরা ওই
নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাবেন। মন মানসিকতায় আধুনিক ও
রাজনৈতিক মাঠের অভিজ্ঞদের নিয়ে আগামী সংসদ সাজানো হবে। সেই সংসদের একজন সদস্য
হয়ে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে চাই। আমার বিশ্বাস, আমার রাজনৈতিক মাঠের লড়াই ও
সংগ্রামের অভিজ্ঞতা মনোনয়নের প্রত্যাশা পূরণে সহায়তা করবে।
মিজানুর রহমান (এসি মিজান) আরও জানান, আমি এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে থাকতে চাই।
তাই সময়-সুযোগ হলেই তাদের কাছে ছুটে যাই। আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের শক্তিই
জনগণ। তাই যত বেশি জনগণবেষ্টিত থাকা যায়, সেই চেষ্টা করি।
প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে
থাকাকালিন গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষনে টিআর-কাবিখার অর্থায়নে দলীয় নেতাকর্মীদের
সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছি। ওই সময় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি, মৎস্য খাতে
ব্যাপক অবদান রেখেছি। মৎস্যজীবিদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত সহযোগিতার পাশাপাশি
জনগণের কল্যাণে সকল কাজ আমরা উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে
বাস্তবায়ন করেছি।
মনোনয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পূর্বে চাঁদপুর-২ আসনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী
মায়া বীরবিক্রম সিনিয়র নেতা, তিনি ছিলেন প্রথম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এরপর ২০০৮
সাথে আমিই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তৃণমূলের ভোটে ওই সময় আমি দলীয় মনোনয়ন
পেয়ে বিএনপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত
হই। আমি জনগণের আশা আকাঙ্খার এবং জনগনের দাবির পরিপেক্ষিতে নেতাকর্মীদের
প্রয়োজনে জন্যে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।
নৌকাকে আগামীতে বিজয়ী করতে আমি মাঠে থাকতে চাই।