মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||
হাজীগঞ্জে অসুস্থ শিক্ষক মো. শাহপরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে তিনি শিক্ষক ও তার ছেলে-মেয়ের চিকিৎসায় সহযোগিতা হিসাবে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর আগেও এই শিক্ষকের চিকিৎসায় ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন পৌর মেয়র।
গত ২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকায় ‘ছেলে-মেয়ে থ্যালাসেমিয়া ও নিজে কিডনি রোগে আক্রান্ত, হাজীগঞ্জে নিজে ও ছেলে-মেয়েকে বাঁচাতে এক শিক্ষক বাবার আকুতি’ শিরোনামে শিক্ষক শাহপরানকে নিয়ে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এছাড়াও ‘ইলশেপাড়’ পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষক শাহপরানের পরিবারের অসুস্থতার খবরটি মানুষ জানতে পারে এবং তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়। এর মধ্যে পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন তার চিকিৎসা বাবদ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।
এর আগেও এই শিক্ষকের চিকিৎসায় পৌর মেয়র ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন শিক্ষক শাহপরান, মেয়ে সাদিয়া আফরিন প্রাপ্তি ও ছেলে আবু বকর আল ফাহিমের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে দেখা করার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, শিক্ষক শাহপরান হাজীগঞ্জ বাজারস্থ একটি বেসরকারি কিন্ডার গার্টেন ও জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষক। চলতি বছর তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন প্রাপ্তি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাত্র দেড় বছর বয়সে তার থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এরপর থেকে গত ১১ বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে।
শিক্ষক শাহপরানের ছেলে আবু বকর আল ফাহিমও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। জন্মের ১৭ মাস বয়সে তারও থ্যালাসেমিয়া রোগ চিহিৃত হওয়ার পর গত আড়াই বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। মেয়ে ও ছেলের চিকিৎসায় যখন শিক্ষক শাহপরান নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এখন তিনিও জঠিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত।
শিক্ষক শাহপরান, মেয়ে সাদিয়া আফরিন প্রাপ্তি ও ছেলে আবু বকর আল ফাহিমের চিকিৎসা এখনো কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন। তাই সরকার ও বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার আহবান জানান তিনি। তার বিকাশ (পার্সোনাল) ও যোগাযোগ করার নম্বর ০১৬২৩-৭৯৪৯৪৬।